বাংলাদেশে কক্সবাজারে চালু হলো উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট। যেখানে আপনি ঝুলন্ত অবস্থায় মাটি থেকে ১৬০ ফুট উপর থেকে বসে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টের সুবিধা পাবেন। যেহেতু আমরা টেক ব্লগ নিয়ে কাজ করছি, সেহেতু কক্সবাজারের ফ্লাই ডাইনিং নিয়ে আমাদের আজকের রিভিউ।
উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট খরচ |
আপনি যদি সাম্প্রতি কক্সবাজাররে যাবার পরিকল্পনা থেকে থাকে,তবে আপনিও এই ফ্লাই ডাইনিং বা উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট সুবিধা উপভোগ করে আসতে পারেন। জেনে নিন, উড়ন্ত রেস্টুরেন্ট কেমন ও কি কি সুবিধা পাবেন।
উড়ন্ত বা ঝুলন্ত যে যেভাবেই বলিনা কেন, এই রেস্টুরেন্ট অনেকটা প্লেট আকৃতির। সমুদ্রের গভীর থেকে তলিয়ে যাওয়া জাহাজ তুলতে যেটি ব্যাবহার করা হয়, ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট অনেকটা সেইভাবে ঝুলে থাকে। প্রতি ট্রিপে ২০-২৫ জন যেতে পারে। তবে যারাই যাবেন, সঙ্গী কাউকে নিয়ে গেলে ভালো। একা একা মজা পাবেন না। সাধারনত রেস্টুরেন্টের সময়কাল এক ঘন্টা। সকাল,দুপুর,বিকেল,সন্ধ্যা ও রাত। এভাবে আলাদা আলাদা সেশনে সেখানে ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট সেবা চালু থাকে। আপনি সেখানে যেতে হলে, অন্তত একদিন আগে বুকিং দিয়ে রাখা ভালো।
জনপ্রতি খরচ পড়বে ছয় হাজার টাকা। দুজন গেলে বারো হাজার টাকা। সাথে খাবার যুক্ত। সেখানে উপরে উঠার পরে,আপনাকে ফ্রাইড রাইস, চাটনী, চিকেন কারি ও সফট ড্রিনক্স দিবে। খাবারের মেনু আহামরি নয়। তবে ভবিষ্যৎতে এই মেনু পরিবর্তন হতেও পারে। এছাড়া এক্সট্রা কিছু খেতে হলে টাকা দিয়ে কিনে খেতে হবে।
এবার বলি ফ্লাইং রেস্টুরেন্টের পরিবেশ কেমন থাকে। আপনি যখন উঠবেন, আপনাকে গেমিং চেয়ারে বসানো হবে। যেখানে সিট বেল্ট দিয়ে আপনাকে বাধা হবে। অবশ্যই ফিতা যুক্ত বা শো জুতা পড়ে উঠবেন। কারন ঝুলন্ত অবস্থায় আপনি চেয়ারে বসা অবস্থায় আপনার পা ঝুলে থাকবে। মিটিং রুমে যেমন গোল করে বসা হয়,সেইভাবে গোল টেবিলে বসা থাকবে। টেবিলের মাঝখানে রেস্টুরেন্ট ওয়েটার থাকবে। যারা আপনাকে খাবার সার্ভ করবে,পাশাপাশি যেকোন সহায়তা করবে। এই এক ঘন্টা সময়ে আপনি চাইলেও চেয়ার থেকে উঠতে পারবেন না। সুতরাং উড়ন্ত রেস্টুরেন্টে উঠার আগে টয়লেটের কাজ সেরে নিবেন।
উড়ন্ত রেস্টুরেন্টে এক ঘন্টায় ছয় হাজার টাকা! এক হিসেবে তা বেশিই। তবে কেউ যদি বিবাহ বার্ষিকী বা প্রিয় মানুষের সাথে জন্মদিন উপভোগ করতে চান, তাহলে ঠিক আছে। নতুবা শখের বসে এই টাকা ব্যায় করা উচিৎ নয় বলে,আমাদের ব্যাক্তিগত অভিমত।
উড়ন্ত রেস্টুরেন্টে উপড়ে উঠা থেকে নামা, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন গান বাজতে থাকবে। যা আপনার মন ভালো করতে বাধ্য। এছাড়া রাতে বেলা বা সন্ধ্যার পরিবেশ সবচেয়ে সেরা। দুপুর বা সকালের পরিবেশ ততটা উপভোগ্য নয় বলে মনে করি। তবুও কেউ যদি ফটোগ্রাফি করতে চান,তবে সকালের শিডিউলিং ভালো হতে পারে।
উপরে উঠে নিজের ছবি নিজেকেই তুলতে হবে অথবা পাশের জন বা রেস্টুরেন্টের লোকজনকে বললে তুলে দিবে। এছাড়া নিচে নামার পরেও ছবি তুলার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি ভেতরে ঢোকার পরে মিকি মাউস নামের এক কার্টুন চরিত্রে এক ব্যাক্তি আপনাকে স্বাগতম জানাবে।
ঢোকার সময় সেখানকার ক্যামেরাম্যান আপনাদের ছবি তুলবে। বের হওয়ার সময় সেগুলা প্রিন্ট আকারে নিতে পারবেন। এছাড়া একজন চিত্রশিল্পী আপনার সামনে,আপনাকে আর্ট করে দিবে। অবশ্য সেটার জন্য টাকা দিতে হবে।
এককথায়, জীবনের উদযাপন করার দিনগুলোতে উড়ন্ত রেস্টুরেন্টে যেতে পারেন।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।