src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> ইকমার্স ব্যাবসায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি?

ইকমার্স ব্যাবসায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি?

ডিজিটাল যুগে এসে দিনকে দিন ইকমার্স জনপ্রতি হয়ে উঠছে। করোনাকালীন সময়ে লকডাউনে আবদ্ধ জনজীবনে ইকমার্স ব্যাবসায় জনপ্রিয়তা অনেক বেড়েছে। তরুন সমাজ চাকরি খুঁজে না পেয়ে,অনেকেই ইকমার্সের দিকে ঝুঁকছে। ফলে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছে। ইকমার্সে আমাদের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি! এই নিয়েই হবে আমাদের আজকের আর্টিকেল।

ইকমার্স ব্যাবসায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি
ইকমার্স ব্যাবসায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি

ইকমার্স হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক বানিজ্য। আধুনিক ইন্টারনেট প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে ব্যাবসায় পরিচালনা করা হয়,সেটিই ইকমার্স। এখনকার দিনে অনলাইনে প্রায় সবকিছু কেনা যায়। দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য ছাড়াও বাড়ি,গাড়ি অনলাইনে কেনা যায়। ফলে অনলাইনের উপর ভিত্তি করে ইকমার্সে বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। লকডাউনে সারা দেশ অচল থাকলে ইকমার্স ব্যাবসা ছিল জমজমাট।

বাস্তবতা হলো, আমরা বাংলাদেশি হিসেবে কোন জিনিস দামাদামি করে কিনতে পছন্দ করি। তাছাড়া আমাদের দেশে সময়ের মূল্য কম দেয়া হয়। যারকারনে ঈদ,পূজায় অনেকে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে শপিং করতে চলে যায়। কেউ কেউ দেখবেন, উপজেলা শহর ছেড়ে জেলা বা বিভাগীয় শহরে শপিং করতে চলে আসে। একটু খুজলেই হয়তো তার বাড়ির পাশে সে পন্যটি পেতে পারতো। সেটি না করে, সময় নস্ট করে দূরে কোথায় চলে যায়। দুইঘন্টা জ্যামে বসে মিরপুর থেকে গুলিস্থান যায়, হ্যাডফোন কিনতে। সেই ব্যাক্তিকে যদি আপনি সময়জ্ঞান দিতে যান,তবে সেটি হবে বৃথা। উন্নত দেশের মানুষ সময়কে মূল্য দেয়। যারকারনে তারা অফলাইনের চেয়ে অনলাইনে কিনতে সাচ্ছন্দ অনুভব করে।

বাংলাদেশে ইকমার্সে বেশকিছু সাইট এদেশে এসে শুরুতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। প্রচুর বিজ্ঞাপন ও বিশাল অংকের মূল্যছাড় দিয়ে ব্যাবসা করার কারনে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। মনে রাখতে হবে, যে সকল কাস্টমার মূল্য ছাড়ের কারনে পন্য কিনে, তারা কখনোই আপনার প্রকৃত কাস্টমার নয়। আপনি সঠিক দাম রাখার কারনে যিনি পন্য কিনেন, তিনিই আপনার প্রকৃত কাস্টমার। তবে সমস্যা হলো, অনলাইনে পন্য কিনতে হলে সেখানে ডেলিভারি চার্জ প্রয়োজন। পন্যের মূল্যের উপর ছাড় দেয়ার পরে,সেখানে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি দেয়াটা সম্ভব। বাহিরের দেশের মানুষ, ডেলিভারি চার্জকে নিজেদের সময়ের চেয়ে অধিক মূল্যবান মনে করে। ফলে তারা ডেলিভারি চার্জ দিতে কোনপ্রকার দ্বিধাবোধ করেনা। আমাদের বাংলাদেশে সময়ের কোন মূল্য নেই। দুইশোটাকার পন্য কিনতে দুইঘন্টা জ্যামে বসে থাকলেও আমাদের কোন আফসোস কাজ করেনা।

সেক্ষেত্রে বলা যায়, বাংলাদেশে ইকমার্স বিজনেসের ভবিষ্যৎ খুব বেশি সম্ভাবনাময় নয়। যারা বিশাল ছাড়ে পন্য বিক্রয় করেও লাভবান হতে পারে,কেবলমাত্র তারাই টিকে থাকতে পারবে। নতুন কেউ শুরুতে বাজারে এসে বিশাল অংকের ছাড়ে ব্যাবসায় করা সম্ভব হয়না। ফলে তারা দাঁড়াতেও পারেনা।
তবে বাজারে সহজলভ্য নয়,এমন কোন প্রোডাক্ট নিয়ে যদি কেউ ইকমার্স ব্যাবসায় শুরু করতে পারে,সেক্ষেত্রে লাভবান হওয়া সম্ভব। যেহেতু পন্যটি অফলাইনে সহজলভ্য নয়, তাই তখন অনলাইনে সেটি কেনার চেস্টা করে। তখন মুনাফার পরিমান বেশি থাকে।

ইকমার্স ব্যাবসায় স্টার্টআপে কেউ সফল হতে চাইলে, তাকে অবশ্যই নতুন কোন ব্যাবসায় ধারনা নিয়ে বাজারে আসতে হবে। নতুন পন্য বাজারে এসে শুরুরদিকে অনেক মুনাফা করতে পারে। একইসাথে যেহেতু শুরুতে বাজারে আসে, সেহেতু বাজারে জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। তবে যখন বাজারে প্রতিযোগিতা চলে আসে,তখন মুনাফার হার দিনকেদিন কমতে থাকবে,যা স্বাভাবিক।  তখন আপনাকে নতুন কোন ব্যাবসায় আইডিয়া নিয়ে বাজারে আসতে হবে। নতুবা আপনি নির্দিষ্টসময় পরে বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না। আপনাকে বাজারে টিকে থাকতে হলে,নতুন পন্য নিয়ে আসতেই হবে।
বর্তমানে ইকমার্স ব্যাবসায় প্রচুর প্রতিযোগিতা। এত এত প্রতিযোগিতার পরেও টিকে থাকা কস্টকর। উন্নত বিশ্বে ইকমার্স ব্যাবসায় এত প্রতিযোগিতা নেই। কারন তাদের দেশে ইকমার্স ব্যাবসায়কে তারা আশির্বাদ হিসেবে নেয়। ডেলিভারি চার্জের চেয়ে সময়কে অনেক বেশি মূল্যবান মনে করে। আমাদের দেশে সময়ের কোন মূল্য নেই,যেকারনে দুইশো টাকার পন্য কিনতে তিনজন বন্ধুকে নিয়ে মার্কেটে ঘুরে দশ দোকান যাচাই করে, রেস্টুরেন্টে বসে সেলফি না তুললে,পন্য কিনে শান্তি পাওয়া যায়না। আর সেখানে যদি তাদেরকে আপনি ইকমার্সের রেগুলার কাস্টমার ভেবে থাকেন,তবে সেটা আপনার ভুল।
বাংলাদেশ স্বভাবগতভাবে ইকমার্স বিজনেসে অনেক পিছিয়ে। ইভ্যালির কতো প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার পরে,মানুষের আস্থা যতটুকু ছিল এখন সেটাও নেই। তাছাড়া অনলাইনে কেনাকাটা নিয়ে অনেকের নানা অভিযোগ থাকে। সবকিছু মিলিয়ে এদেশে ইকমার্স ব্যাবসায় শুভ নয়।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post