শাওমির সাব ব্রান্ড পকো। পকোর ফোনে আপডেট আসা নিয়ে ব্যাবহারকারীদের মধ্যে আতঙ্কের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পকো এম থ্রি নিয়ে তো ব্যাবহারকারীদের অভিযোগের অন্ত নেই। এখন পকো এক্স টু নিয়েও একই অভিযোগ। এই ফোনে আপডেট আসার পর,যারা আপডেট দিচ্ছেন,তাদের ফোন আর চালু হচ্ছেনা। আর যাদের ফোন চালু হচ্ছে, তাদের ফোন দেখা দিচ্ছে নানা সমস্যা। পকোর ফোনে আপডেট দিলে কেন সমস্যা হয়!? এই নিয়েই হবে আমাদের আজকের আর্টকেল।
পকোর ফোনে আপডেটে সমস্যা হয় কেন |
শাওমি তাদের প্রিমিয়াম বাজেটে পকো ব্রান্ডিং ফোন নিয়ে আসে। শুরুর দিকে স্মার্টফোন বাজারে পকোর ফোনের ব্যাপক হাইপ ছিল। সেলিব্রেটিদের হাতে হাতে ছিল পকোর ফোন। এখনকার বাজারে ওয়ানপ্লাসের ফোনের যেমন হাইপ ছিল,পকোর ফোনেও তেমনি হাইপ ছিল। বাজারে যখন রিয়েলমি আসে,তখন শাওমি তাদের পকো ব্রান্ডকে রিয়েলমির সাথে কম্পিটিশন করার জন্য ছেড়ে দেয়। কম বাজেটে ভালো স্পেসিফিকেশনে ফোন নিয়ে আসে পকো। বাজারে প্রচুর আলোচনায় আসে। পকোর ফোন কম বাজেটে বেশি স্পেসিফিকেশন দিতে গিয়ে,তাদের মান খারাপ করে ফেলেছে। মান এতটাই খারাপ করেছে যে, এখন নতুন কোন আপডেট আসলে,সেটা আপডেটের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনা।
তাছাড়া শাওমি তাদের পকো ব্রান্ডিং ফোনে এমন কিছু স্পেসিফিকেশন দেয়, যেটা পরীক্ষামূলকভাবে দেয়। এই পরীক্ষামূলকভাবে দিতে গিয়েই এই সমস্যাটি হয়। যেমন পকো এম থ্রিতে স্নাপড্রাগন ৬৬২ প্রসেসর দেয়। এই প্রসেসর দিয়ে বাজারে যত ফোন লাঞ্চ হয়েছে সবগুলাই কোন না কোন সমস্যা আছে।
শাওমির পকো নিয়ে তেমন কনসার্ন মনে হয়না। যেহেতু তারা পরীক্ষামূলকভাবে পকো ব্রান্ডকে বাজারে দিচ্ছে,সেহেতু উনারা এটাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেনা। তবে একটি ব্রান্ডকে এইভাবে ধংস করা উচিৎ নয়। শাওমির উচিৎ তাদের ফোনে আপডেট নিয়ে সমস্যাগুলো সমাধান করা। ফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরো সচেষ্ট হওয়া উচিত।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।