src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> ই-সিম কেন জনপ্রিয়তা পায়নি?

ই-সিম কেন জনপ্রিয়তা পায়নি?

সাম্প্রতি বাজারে ই-সিম নামটি শোনা যাচ্ছে। অনেকে আছে ই-সিম কি,সেটিই জানেনা। ই-সিম হলো এমন এক ধরনের সিম, যেটি ফিজিক্যাল সিমের মতো যায়গা দখল করেনা। আগেকার যুগে ল্যাপটপে মোডেম ব্যাবহার করতে হতো,এখন ইন্টারনেট ব্যাবহার হয় ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে। ই-সিমের বিষয়টিও অনেকটা এইরকমই।

ই-সিম কেন জনপ্রিয়তা পায়নি
ই-সিম কেন জনপ্রিয়তা পায়নি

ই-সিম নিয়ে অনেকের আগ্রহ আছে। সাম্প্রতি বাংলাদেশে ই-সিম চালু হতে যাচ্ছে। ই-সিম সিস্টেম সাপোর্ট করে এমন ফোন দিয়েই আপনি ই-সিম ব্যাবহার করতে পারবেন। আপনি যদি ইসিম ব্যাবহার করতে চান,তাহলে আপনাকে কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে কনফিগারেশন নিয়ে আসতে হবে। কাস্টমারে কেয়ারে গিয়ে,তারা আপনাকে কিছু পিন কোড ইনপুট দিয়ে আপনার ফোনে সিম এক্টিভ করে দিবে।

এখানে অসুবিধা হলো, ই-সিম আপনি অন্য সিমের মতো ফোন থেকে ফোনে ব্যাবহার করতে পারবেন না। এটা করতে হলে আপনাকে কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবেই। যদি কাস্টমার কেয়ারে যাওয়া অসুবিধা মনে হয়,তাহলে ফোনে কথা বলে এক্টিভ করিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ই-সিমের অধীনে আপনার রেজিস্টার্ড ইমেইল যুক্ত থাকতে হবে।

মূলত ই-সিমের ব্যাবহারের অসুবিধার কারনেই এই ই-সিম জনপ্রিয়তা পায়নি। ই-সিমে ফোনের ভেতরে কিছু স্পেস সাশ্রয় হয় কিন্তু সেটা আবার সেই আহামরি বেশি নয়। তবে আমরা জানি, ই-সিমে রেজিস্ট্রেশন করার ঝামেলা ছাড়াও ফিজিক্যাল কোন অস্থিত্ব নেই। তাই ই-সিম জনপ্রিয়তা পায়নি। এছাড়া যেহেতু আমাদের দেশের মানুষ সবসময় একই ফোন ব্যাবহার করেনা। আপনার পুরাতন ফোন নস্ট হলে যখন নতুন ফোন কিনবেন,তখন আবার সিম এক্টিভ করার জন্য কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। যা কিছুটা হলেও ভোগান্তির। এইসব দিক বিবেচনা করে ই-সিমে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয়তা পায়নি।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post