আপনার হাতে থাকা মাঝারি অংকের পুঁজিতে মোবাইল ফোনের ব্যাবসায় শুরু করে দিতে পারেন। বাংলাদেশ পেক্ষাপটে স্মার্টফোন বা মোবাইল ফোনের ব্যাবসা স্মার্ট ব্যাবসায় হিসেবে ধরে নেয়া হয়। মাঝারি মানের পুঁজিতে ভালো ব্যাবসা করা সম্ভব। আপনি যদি মোবাইলের দোকান দেয়ার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেল আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।
মোবাইলের দোকান দিয়ে সফল হওয়ার উপায় |
সাধারণত তিন ধরনের ক্যাটাগরিতে মোবাইল ফোনের ব্যাবসায় করা যায়।
(১) ব্রান্ড শপ
(২) মাল্টি ব্রান্ড শপ
(৩) ডিলার শপ
এখন আসি, কোন শ্রেনির ব্যাবসায় সুবিধা বেশি ও পুঁজি কেমন লাগে। আপনি যদি ব্রান্ড শপ নিতে চান, তাহলে স্নান নির্বাচন ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারন আপনি যে ব্রেন্ডের শপ নিচ্ছেন, সেই ব্রেন্ডের ওয়েবসাইটে আপনার দোকানের ঠিকানা দেয়া থাকবে। তবুও আপনার ব্যাবসায়ের স্থান যদি ভালো হয়,সেটা দেখেই আপনাকে ব্রান্ড আপনাকে শপের অনুমোদন দিবে। আপনার আর্থিক অবস্থা, ব্যাবসায় ধরন,অতীত রেকর্ড সবকিছু বিবেচনা করেই কোম্পানি আপনাকে ব্রান্ড শপ খোলার অনুমোদন দিবে। কোন কোন ক্ষেত্রবিশেষে কোম্পানি থেকেই বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। যদি না দেয়,তখন আপনার স্বউদ্দোগে নিয়োগ দিতে হবে। ব্রান্ড শপে ফোন বিক্রিতে মুনাফার হার বেশি থাকে। তবে ডেকোরেশন ও অন্যান্য হিসেব করলে কম। ব্রান্ড শপের প্রধান অসুবিধা হলো, আপনি চাইলেই সাথে অন্য কোম্পানির ফোন বিক্রি করতে পারবেন না। আপনার বিক্রিত ফোন কোম্পানির সুনাম বাজারে যত বেশি থাকবে,আপনার বিক্রি ততো বাড়বে। ব্রান্ডের সুনাম হ্রাস পেলে,বিক্রি কমতে থাকবে। ব্রান্ড শপে ক্রেডিটে পন্য পাওয়া যায়। আপনার বিক্রয় নির্ভর করবে আপনার ব্রান্ড ভ্যালু বাজারে কেমন,তেমনি।
এবার আসি,মাল্টি ব্রান্ড শপ প্রসঙ্গে। মাল্টি ব্রান্ড শপে আপনার ব্যাবসায়ের জন্য যায়গা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া দোকানের যায়গা ও বিশাল হলে ভালো হয়। মাল্টি ব্রান্ড মোবাইল শপে একইসাথে কয়েকটি ব্রান্ডের জন্য যায়গা বরাদ্দ থাকে। অনেক ক্ষেত্রে ব্রান্ডের পক্ষ থেকেই বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। যেহেতু এখানে একাধিক ব্রান্ড থাকে একজন ক্রেতাকে খুব সহজে কনভেন্স করে ফোন বিক্রি করা যায়। ফলে আলটিমেটলি প্রফিট যেটা হওয়ার সেটা আপনার ঠিকই থাকে। তাছাড়া এখানে চাইলে গেজেট আইটেম রেখেও বিক্রি করা যায়। যেহেতু এখানে সকল প্রকার ব্রেন্ডের সমন্বিত শপ, সেহেতু ভালো কোয়ালিটির গেজেট রাখলে মুনাফা বাড়ে,একইসাথে দোকানের সুনাম ও বৃদ্ধি পেতে থাকে। ব্রান্ড শপে বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাছাড়া ব্রান্ড শপে ক্রেতাদের বিভিন্ন গিফট ও ছাড় দেয়ার ফলে ফ্রিতে প্রমোশন ও বিক্রি উভয়ই বৃদ্ধি পায়। কোম্পানি অনেকক্ষেত্রে ক্রেডিটে ফোন দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিশাল অংকের দোকান ভাড়া ও ডেকোরেশন খরচ ও প্রাথমিক মূলধন যোগাতে পারলে এই ব্যাবসায় খুব সহজে সফল হওয়া যায়।
ডিলার শপ নিয়ে যদি বলতে হয়,ডিলার শপের জন্য স্নান গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেহেতু এখানে কিছুটা কম মূল্যে ফোন বিক্রি করা হয়,সেহেতু এমনিতেই পরিচিতি পায়। বাজারে অফিশিয়াল দামের চেয়ে দুই তিনশো টাকা কম মূল্যে ডিলার শপ থেকে ফোন কেনা যায়। ডিলার শপে স্মার্টফোন ছাড়াও বাটন ফোন বিক্রি করা যায়। ডিলার শপে মাঝারি মানের ডেকোরেশন যথেষ্ট। ডিলার শপে কোম্পানি থেকে বিক্রয়কর্মী ক্ষেত্রবিশেষে দেয়া হয়। ডিলার শপে প্রফিট মার্জিন কম, তবে বিক্রয় বাড়াতে পারলে অনেক মুনাফা করা যায়।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।