src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> বি টু বি অনলাইন বিজনেসে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি?

বি টু বি অনলাইন বিজনেসে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি?

বাংলাদেশে সাম্প্রতি বি টু বি অনলাইন বিজনেস জনপ্রিয় হচ্ছে। বি টু বি মানে বিজনেস টু বিজনেস। যখন কোন ইকমার্স প্রতিষ্ঠান সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পন্য বিক্রি না করে, কোন রিটেইলার বা দোকানে বিক্রির জন্য সরবরাহ করে তখন সেটাকে বি টু বি অনলাইন বিজনেস বলে। আমাদের এদেশে বি টু বি অনলাইন প্লাটফর্মের ভবিষ্যৎ কি, এই নিয়েই আমাদের আজকের আর্টিকেল।

Sindabad dot com,Kiksha dot com
বি টু বি অনলাইন বিজনেসে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি

বি টু বি(B2B) অনলাইন প্লাটফর্মগুলো মূলত যারা খুচরা বিক্রেতা,তাদেরকে টার্গেট করে ব্যাবসা করে থাকে। আমাদের এদেশে বি টু বি অনলাইন শপের উদাহরণ হলোঃ দারাজ ডট কম, পারার দোকান ডট কম, সিন্দাবাদ ডট কম, গিফট ঘর ডট কম, প্রিয়শপ ডট কম ইত্যাদি।

প্রতিটি পাড়া ও মহল্লায় দোকান হচ্ছে। সেইসব দোকানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোম্পানির লোকজন গিয়ে প্রয়োজনীয় পন্য পৌছে দিয়ে আসে। কোম্পানি যেখানে এখনো যেতে পারেনি, সেইসব দোকানদার স্থানীয় পাইকারি দোকান থেকে রিক্সা বা অটোতে করে পন্য নিয়ে আসে। তবে আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যতদূর সম্ভব পাড়া মহল্লায় দোকানে যাওয়ার চেস্টা করছে।

বিটুবি অনলাইন প্লাটফর্মগুলো এখন পর্যন্ত শহর বা মফস্বল শহরে সীমাবদ্ধ আছে। শহর ও মফস্বল শহরে বিভিন্ন কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেন্টিভ পন্যের অর্ডার নেয়। সেলস রিপ্রেজেন্টিভ যে মূল্যে পন্যের অর্ডার নেয়, সেই মূল্যে কোন অনলাইন প্লাটফর্ম পন্য দিতে পারবেনা। তার উপর অনলাইন প্লাটফর্ম পন্যের পরিবহণ খরচ হিসেব করবে। কারন যে এলাকায় পন্য ডেলিভারি দিবে,একই দিনে সেই এলাকার অন্য দোকানদার অর্ডার নাও দিতে পারে। এখানেই বি টু বি অনলাইন প্লাটফর্মের ব্যাবসায় প্রতিবন্ধকতা। কোন কোম্পানির প্রতিনিধি যে দামে পন্য বিক্রি করতে পারবে, বি টু বি অনলাইন শপ সেই দামে পন্য বিক্রি করতে পারবেনা। যদিও করে, তাহলে যেধরনের পন্যের বাজার উঠানামা করে, সেগুলা করতে হবে। যেমনঃ তেল,চাল,চিনি,ডাল ইত্যাদি।

আমাদের এদেশের মানুষ সময়ের মূল্য দিতে জানেনা। কিছু টাকা পন্য কিনতে জ্যামে বসে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পন্য কিনতে দ্বিধাবোধ করেনা। অপরদিকে বি টু বি অনলাইন প্লাটফর্ম দোকানদারদের সময়ের মূল্য বোঝানোর চেস্টা করে,পন্য কিনতে উৎসাহ দেয়। যা পুরোপুরিভাবে ভুল পদ্ধতি।

এইজন্য তাদের যা করা উচিৎ, একটা দোকানে কিছু পন্য থাকে যেগুলার কোম্পানি এদেশে নেই। বিভিন্ন উদ্দোক্তা নিজ উদ্দোগ্যে বা অন্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ডিএসআর নিজ উদ্দোগে পন্য কিনে এনে দোকানে সরবরাহ করে। যেমনঃ ভারতীয় চকলেট, বাহিরের দেশের কোমল পানীয়, বেলুন, বিদেশি কয়েল, সিগারেট,বিদেশী তেল,ভারতীয় বিভিন্ন পন্য ইত্যাদি। যা এদেশীয় কোন ডিলার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। সেই পন্যের দামে অনেক হেরফের হয়। বি টু বি অনলাইন প্লাটফর্ম যদি এই ধরনের পন্যের অনুমতি নিয়ে ব্যাবসা কররে পারে,তাহলে অনেক ভালো মুনাফা করতে পারবে। কারন এইজাতীয় পন্যের দেশীয় ডিলারশিপ কারো নেই। বেশিরভাগ দোকানে এইজাতীয় পন্যের চাহিদা আছে। অনেকে এগুলা স্থানিক পাইকারি দোকান থেকে কিনে এনে বিক্রি করে। মোটকথা যেধরনের পন্যের দেশীয় ডিলারশিপ কেউ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই সেগুলা যদি অনুমোদন সাপেক্ষ বি টু বি অনলাইন প্লাটফর্ম বিক্রি করতে পারে,তাহলে অধিক মুনাফা করা সম্ভব।
নতুবা আমাদের বাংলাদেশে বিটুবি অনলাইন শপ যেভাবে চলছে অদূর ভবিষ্যৎ চিন্তা করলে অচিরেই সেগুলা হারিয়ে যাবে। যদিও অনেক প্রতিষ্ঠান কোনরকমভাবে টিকে আছে। লক্ষ করলে দেখবেন,তারা যেভাবে টিকে আছে,সেইভাবে বেশিদিন টিকে থাকা সম্ভব নয়। আমরা যতই ডিজিটাল চিন্তাভাবনা করিনা কেন, দেশের মানুষ যতদিন পর্যন্ত সময়ের মূল্য হিসেব করতে শিখবেনা,ততদিন বি টু বি কেন, বি টু সি কোন প্রতিষ্ঠানই টিকবেনা।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post