src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> নতুন ফোন কেনার সময় যে ভুলগুলো করি

নতুন ফোন কেনার সময় যে ভুলগুলো করি

নতুন ফোন কেনার সময় যে ভুলগুলো করি
নতুন ফোন কেনার সময় যে ভুলগুলো করি

আমরা যখন নতুন ফোন কিনতে যাই,তখন অনেককিছু দেখেই ফোন কিনে থাকি। তবুও কিছু কমন ভুল করে থাকি যা আমরা অবেকেই জানিনা। যারা কয়েকদিন বাদেই নতুন মোবাইল কেনার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য বিশেষকরে আজকের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন মোবাইল ফোন কেনার সময় আমরা সবাই কমবেশি রিভিউ দেখেই দোকানে যাই। একটি মোবাইলের দাম কেমন হবে, ক্যামেরা কেমন, প্রসেসর কেমন, র‍্যাম রম কেমন, ব্যাটারি কেমন, চার্জার কি দিচ্ছে সবই জেনে তারাপর মার্কেটে মোবাইল কিনতে যাই। এরমাঝেও কিছু কমন জিনিশ আছে যেটা আপনাকে কেউই কোনদিন বলেনা। ফোন কেনার পরে সেটার ভুক্তভোগী হই।

আপনি যখন একটি ফোন কিনলেন,তারপর অবশ্যই সেই ফোনে ইউটিউব ভিডিও বা গান দেখবেন। আপনার হাতের কাছে সবসময় হ্যাডফোন থাকবে তাও কিন্তু নয়। এখনকার বাজারে কিছুকিছু ফোন আছে যাদের ফোনে মিউজিক শোনার জন্য ফোনের নিচের অংশ বা পেছনে আলাদাভাবে কোন স্পিকার দেয়া হয়না। ফোনে কথা শোনার জন্য কানের কাছে যে স্পিকার থাকে সেটাই গান শোনার সময় লাউড স্পিকার হিসেবে কাজ করে। যারা এইধরনের ফোন কিনে থাকেন,কেনার কয়েকদিন পরেই ভুক্তভোগী হোন। তাই নতুন ফোন কেনার সময় ফোনের নিচের অংশে বা পেছনে আলাদাভাবে স্পিকার দিয়েছে কিনা সেটা ভালোভাবে দেখেশুনে তারপর ফোন কিনবেন।

তারপর দ্বিতীয় যে ভুলটি আমরা করি সেটা হলো ফোনের সাইজে গ্লাস প্রোটেকশন সেই দোকানে আছে কিনা সেটা দেখে নিবেন। আপনার ডিসপ্লের সাইজের চেয়ে ছোট গ্লাস প্রোটেকশন আপনাকে লাগিয়ে দিয়ে দোকানদার বলবে যে,এটাই এই ফোনের জন্য বানানো হয়েছে। বাসায় গিয়ে চ্যাট করার সময় দেখবেন যে আপনার আঙ্গুল গ্লাস প্রোটেকশবের কোনায় লেগে যাচ্ছে। তারপর একদিন ফোন পকেটে নেয়ার সময় গ্লাস খুলে যাবে। তাই গ্লাস প্রোটেকশন লাগালে অবশ্যই ফোনের ডিসপ্লের সাইজের সাথে পার্ফেক্টলি খাপ খায়, এমন কোন গ্লাস প্রোটেকশন লাগানোর চেস্টা করবেন। সেক্ষেত্রে ফোনটি কেনার সময় ভালো কোন শপ থেকে কেনার চেস্টা করবেন। সেই দোকানে এই ফোনের সাইজের গ্লাস প্রোটেকশন আছে কিনা সেটা ভালোভাবে নিশ্চিত হয়ে তারপর ফোন কিনবেন।

নতুন মোবাইল কেনার সময়, সেই মোবাইলের ক্যামেরায় কেমন ছবি উঠে সেটা দেখার জন্য মোবাইল শপে ছবি তুলে থাকি। মনে রাখবেন, মোবাইল শপের যে ডেকোরেশন, সেখানে আট ম্যাগাপিক্সেল ক্যামেরা যেমন ছবি তুলবে, একশো বারো মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় তোলা ছবি একই মনে হবে। তাই মোবাইল শপে তোলা ছবি দেখে ফোনের ক্যামেরার মান বিচার করাটা একেবারেই বোকামি ছাড়া কিছুনা।

এখনকার বাজারে বেশকিছু ফোনে পাঁচ বা ছয় হাজার এমএইচ ব্যাটারি দেয়া হয় কিন্তু ইন বক্স দশ বা আঠারো ওয়াটের চার্জার দেয়া হয়। যা দিয়ে ফোন চার্জ দিতে তিন থেকে চার ঘন্টার মতো সময় নেয়। তখন চার্জ দিতে দিতেই এমন বিরক্তিকর অবস্থা হয় যে,মনে হবে যে আপনার মোবাইলের চার্জার সমস্যা নয়তোবা চার্জার ক্যাবিলে সমস্যা। আসলে সমস্যা আপনার ফোন কেনায়। আপনি যদি ফোন কেনার সময় ফাস্ট চার্জার আছে এমন দেখে ফোন কিনতেন তাহলে এমনটি হতোনা। এখনকার যুগে যে অবস্থা আঠারো ওয়াটের ফাস্ট চার্জারই মনে হচ্ছে কয়দিন পর অচল হয়ে যাবে। তাই নূন্মতম আঠারো/বাইশ ওয়াটের চার্জার আছে এমন ফোন কেনার চেস্টা করবেন।

যারা নিয়মিত ফোনে টাইপিং করেন তারা যে ভুলটি করে থাকেন হুট করেই বিশাল বড় সাইজের ডিসপ্লে ফোন কিনে ফেলে। এই ভুলটি করা যাবেনা। সারে ছয় ইঞ্চি বা তার কাছাকাছি সাইজের ডিসপ্লে ফোন এখনকার দিনে ঠিকঠাক। এখন যদি ৬.৭ বা তার চেয়ে বড় সাইজের ফোন কিনে থাকেন,তাহলে ভুল হবে যদি আপনি নিয়মিত টাইপিং করেন। আর আপনি যদি ভিডিও বা ইউটিউব দেখেন তাহলে বড় সাইজের ডিসপ্লে ফোন আপনার জন্য ঠিকঠাক আছে।

নতুন মোবাইল ফোন কিনার সময় আমরা ক্যামেরা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যে ভুলটি করি সেটা হলো, ধরুন পেছনে একটি ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেল বাকী চারটি ২ মেগাপিক্সেল। এই ধরনের ফোনে বাকী চারটি দুই মেগাপিক্সেল আসলে কোন কাজেরই না। প্রাইমারি যদি হয় ৪৮ পরের ক্যামেরা অন্তত ১৬ না হলেও ৮ হওয়া উচিৎ। এখনকার যুগের ফোনে দুই ম্যাগাপিক্সেল ক্যামেরা তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেনা।

তারপর আমরা আরেকটি ভুল করি, এটাকে ভুল বলবনা। এটা হলো দোকানদার কতৃক আমাদের বোকা বানানো। নতুন ফোন কিনতে গেলে ফোনের ডিসপ্লে এইচডি নাকি ফুল এইচডি নাকি ফুল এইচডি প্লাস সেটা নিয়ে আমরা বোকা হয়ে যাই। জেনে রাখুন, সবচেয়ে ভালো ফুল এইচডি প্লাস, তারপরে এইচডি প্লাস, তারপরে এইচডি। আর প্রিমিয়াম বাজেট ফোনের ক্ষেত্রে সুপার এমোলেড তারপর এমোলেড।

সচরাচর নতুন ফোন কিনতে যাবার সময় আমরা এই ভুলগুলোই করে থাকি। আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post