এখন আমাদের অনেকের বাসায় ওয়াফাই রাউটার ব্যাবহার করে থাকি। বাসায় দুই বা ততোধিক সদস্য যদি স্মার্টফোন ব্যাবহারকারী হয় তখন ওয়াইফাই বা ব্রডবেন্ড ইন্টারনেট ব্যাবহার করাটা সাশ্রয়ী হয়। বাসায় ওয়াইফাই লাইন নেয়ার জন্য সবারই রাউটার কিনতে হয়। এই রাউটারে দেখা যায় কয়েকদিন পরেই সমস্যা দেখা দেয়। এখনকার বাজারে কিছুকিছু রাউটারে গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি দেয়া হলেও সেটা থাকে শর্তসাপেক্ষ। অনেক রাউটার কেনার সময় লিখাই থাকে যে,বজ্রপাতে নস্ট হলে ওয়ারেন্টি থাকবেনা। এবার কিছুকিছু ব্রান্ড আছে যারা বজ্রপাতে নস্ট হবেনা,এমন গ্যারান্টি দিয়েই রাউটার বিক্রি করে। এছাড়া আমাদের ব্যাবহারগত কারনে অনেকসময় রাউটারে সমস্যা দেখা দেয়। বাসার ওয়াইফাই রাউটার কিভাবে যত্ন নিলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে, সেটাই আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয়।
![]() |
কিভাবে ওয়াইফাই রাউটার ভালো রাখবেন |
ওয়াইফাই রাউটার ভালো রাখার উপায়ঃ
বাসায় ওয়াইফাই লাইন আনার আগে,কোথায় রাউটার সেটাপ করবেন সেটা আগে থেকেই নির্ধারণ করে রাখবেন। সবসময় চেস্টা করবেন মাঝের রুমে যাতে রাউটার সেটাপ করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাইন যদিও রান্নাঘর দিয়েই আসে, তবুও সেটাকে ওয়ারিং করিয়ে মাঝখানের রুমে সেটাপ করার চেস্টা করবেন। ওয়াইফাই অপটিক্যাল কেবল সেটাপ করার জন্য একধরনের পিন সহ প্লাস্টিকের পিন পাওয়া যায়। সেগুলা দিয়ে অনেই সুন্দরভাবে তার সেটাপ করা যায়। রাউটার কখনোই রান্নাঘর বা রান্নাঘরের দেয়ালে রাখবেন না। কারন রান্নাঘরের দেয়াল সবসময় অতিরিক্ত গরম থাকবে সেহেতু ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে এমন রুমে রাখার চেস্টা করবেন।
ওয়াইফাই রাউটারের নিচে অংশে যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে সেটা দেখবেন। অনেকে দেয়ালে এমনভাবে সেটাপ করে,তাতে রাউটারের বাতাস চলাচল করতে পারেনা। ফলে নেট স্পিড কমে যায়। তাছাড়া ওয়াইফাই রাউটের বিদুৎ সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে কোন থ্রিপ্লাগ বা মাল্টিপ্লাগ প্রয়োজন পড়ে। কারন বৈদুৎতিক লাইনে রাউটারের পাশাপাশি অনু ডিভাইস যুক্ত করতে হয়। সেক্ষেত্রে একাধিক বৈদুৎতিক সংযোগ নিতে হয়। তখন মাল্টিপ্পাগ বা থ্রিপ্লাগ ব্যাবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই দামী থ্রিপ্লাগ বা দামী মাল্টিপ্লাগ ব্যাবহার করবেন। কিছুকিছু থ্রিপ্লাগ আছে যেটাতে ফিউজ থাকে। যে থ্রিপ্লাগের দাম প্রায় দেড়শত টাকা। সম্ভব হলে সেটি ব্যাবহার করবেন। কারন এত টাকার রাউটার ব্যাবহার করছেন সেটাতে যদি কমদামী বিদুৎ সংযোগ ব্যাবহার করার কারনে লাইন জ্বলে যায়,তার চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে।
সম্ভব হলে রাতে ঘুমানোর সময় রাউটার বন্ধ রেখে ঘুমাবেন। যদি তা সম্ভব না হয়,তবে দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় রাউটার বন্ধ রাখার চেস্টা করবেন।
বাসায় বিদুৎ চলে গেলে রাউটারের সুইচ বন্ধ রাখবেন। হঠাৎ বিদুৎ চলে আসার ফলে যে ইন্টারনেট চালু হয়, সেটা অনেকক্ষেত্রে সমস্যা হয় বা স্পিড কম থাকে। তাই যদি সম্ভব হয়,বিদুৎ চলে গেলে রাউটারের বৈদুৎতিক সুইচ বন্ধ রাখবেন।
তিনমাসে একবার, রাউটারের সংযোগ থেকে খুলে মুছে পরিস্কার করার চেস্টা করবেন। তবে ভুলেও পানি ব্যাবহার করবেন না। হালকা ভেজা নেকড়া দিয়ে মুছতে পারেন।
রাউটার যে রুমে থাকবে সেই রুমের তাপমাত্রা যাতে বেশি গরম না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখার চেস্টা করবেন।
রাউটারের অধীনে যত বেশি ব্যাবহারকারী থাকবে,রাউটার তত বেশি গরম হবে। ওয়াইফাই রাউটার গরম হওয়া মানেই, নেট স্পিড স্লো হয়ে যাওয়া। তাই রাউটারকে কোন অবস্থাতেই বেশি গরম হতে দিবেন না।
অনেকে আছে ফ্রিজের উপর রাউটার রাখে। এই কাজটি ভুলেও করবেন না। ফ্রিজ এমনিতেই তাপ উৎপাদন করে। তাই ফ্রিজের উপর রাউটার রাখলে আপনি রাউটারের থেকে সর্বোচ্চটুকু পাবেন না।
স্টিলের আলমারি বা যেকোন আলমারির উপরে রাউটার রাখতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন সেটার আশেপাশের তাপমাত্রা যারে বেশি না হয়। এমনিতে উৎপাদন ত্রুটি না থাকলে একটি রাউটার অনায়াসে কোনপ্রকার সমস্যা ছাড়াই দুই থেকে তিনবছর ব্যাবহার করা যায়।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।