src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> কেন সিম্ফনি মোবাইল ব্রান্ড সাপোর্ট করা উচিত?

কেন সিম্ফনি মোবাইল ব্রান্ড সাপোর্ট করা উচিত?

একটা সময়ের কথা ভাবুন। এইতো খুব বেশিদূর যেতে হবেনা ২০১৫-১৭ সালের দিকে বাংলাদেশের প্রায় ৯০% মানুষ যে ফোনটি ব্যবহার করত তার নাম Symphony স্মার্টফোন। এদেশের মানুষকে কম বাজেটে স্মার্টফোন ব্যাবহার শিখিয়েছে এই সিম্ফনি। এন্ড্রয়েট একসময় দেশের বাজার মাতিয়ে রাখা এই ব্র্যান্ডটিকে আজকে আমরা একটু অবহেলার চোখেই দেখি। হয়ত আজকে আমাদের সেই আগের মতো আর বেহাল দশা নেই। এখন আমরা অনায়াসে ৪০-৭০ হাজার টাকা বাজেট করে ফেলি ফোন কেনার জন্য। এজন্য হয়ত ১০ হাজার বা তার আশেপাশের বাজেটে Symphony -র নাম শুনলে নাক-মুখ কুঁচকে যায়।

কেন সিম্ফনি মোবাইল ব্রান্ড সাপোর্ট করা উচিত
কেন সিম্ফনি মোবাইল ব্রান্ড সাপোর্ট করা উচিত

সে যাইহোক। দুঃখের বিষয় হলো, আজও এদেশে নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকেরা বসবাস করে। আর তাদের কষ্টের উপার্জন করা টাকাতে তারা সবচেয়ে ভালো জিনিসটি কিনতে চায়। তাদের শখের চেয়ে প্রয়োজনটা বড়। তাই নামি-দামি ব্র্যান্ডের ফোন কেনার শখকে মাটি দিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে ভরসাযোগ্য Symphony কেই বেছে নেয়। আপনি যদি বাজারে শক্তপোক্ত ফোন খুঁজে থাকেন তাহলে সিম্ফনির বিকল্প নেই।

আজকে আমাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু যখন টানাপোড়েনের মধ্যে ছিলাম তখন যে সঙ্গী সবসময় সঙ্গ দিয়েছে তাকে ভুলে যাওয়াটা বেঈমানী। আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। একটা কমদামি স্মার্টফোন থেকে যা কিছু আশা করা যায় তারচেয়ে অনেক বেশি কিছু Symphony আমাদেরকে সরবরাহ করে।

আজকে দেশীয় পণ্যের নাম শুনলেই আমরা ১০ হাত দূর দিয়ে চলি। কিন্তু কেউ বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেনা Symphony থেকে কেউ প্রতারিত হয়েছে। সার্ভিস খারাপ দিয়েছে। তবুও দুর্নাম কারণ যারা অতিমাত্রায় ফোন ব্যবহার করে তারা ফোনে ল্যাগ পায়। পাওয়াটা স্বাভাবিক, কারণ ফোনটা কম দামী।

কেন সিম্ফনি মোবাইল ব্রান্ড সাপোর্ট করা উচিত? কারণঃ

১. দেশীয় পণ্য।
২. Symphony-র উন্নতি হলে মার্কেটে কম্পিটিশন বাড়বে।
৩. কমদামে উন্নত প্রযুক্তি সবার হাতে পৌঁছাবে।
৪. বাংলাদেশে অন্যান্য বিদেশি কোম্পানিগুলো যেমন নিম্নমানের স্মার্টফোন তুলনামূলকভাবে বেশি দামে সরবরাহ করে, সেটা অনেকটাই কমে যাবে।
৫. সিম্ফোনির কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার বেশি। কোনপ্রকার সমস্যা হলে দ্রুত সারিয়ে নেয়া যায়।
৬. সিম্ফনির বিল্ট কোয়ালিটি অনেক শক্তপোক্ত। অনায়াসে দুই তিন বছর ব্যাবহার করা যায়।
৭. আপনার বাজেট যদি ১২ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে,তাহলে এই বাজেটে সিম্ফনির প্রতিযোগী এখন পর্যন্ত সৃষ্টি হয়নি। কারন সিম্ফনি এই বাজেটে যে স্পেসিফিকেশন দিবে,তা অনেক ব্রান্ডই দিবেনা।

আরো অনেককিছু আছে, গুছিয়ে বলতে পারলাম না। এই গ্রুপটার মাধ্যমে সবার ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা জানানো যাবে। আমি সিম্ফোনি ২০১৬ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত ব্যবহার করছি। আমি সত্যি সন্তুষ্ট।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।


Previous Post Next Post