আমরা যতসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহার করি, তার মধ্যে হোয়াটসএপ অন্যতম। ফেইসবুকের পরেই হোয়াটসএপ ব্যাবহার হয়ে আসছে। হোয়াটসএপ মূলত একটি ম্যাসেজিং এপ্স। শুরুতে ম্যাসেজে বার্তা আদানপ্রদান করার জন্য হোয়াটসএপ ব্যাবহার হয়ে আসছিল। তারপর একপর্যায়ে এতে ভয়েজ কল ও ভিডিও কল সিস্টেম যুক্ত হয়। ম্যাসেজে যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসএপকে নিরাপদ মাধ্যম বলা হয়।
![]() |
নির্ভয়ে হোয়াটসএপ ব্যাবহার করুন |
কারন আপনি যখন হোয়াটসএপ ব্যাবহার করে কারো সাথে যোগাযোগ করবেন,তখন আপনি আর আপনার বার্তা প্রাপক ব্যাতিত মাঝপথে তথ্য চুরির কোন সম্ভাবনা নেই। হোয়াটসএপ কতৃপক্ষ চাইলেও আপনার তথ্য চুরি করতে পারবেনা। কারন এই ম্যাসেজিং সিস্টেমে End to End Encryption সিস্টেম ব্যাবহার করা হয়। অন্য সব যোগাযোগ মাধ্যমে কিছুকিছু মাধ্যমে এখন হয়তোবা End to End Encryption সিস্টেম ব্যাবহার করা হয়।
সাম্প্রতি ফেইসবুক কতৃপক্ষ ঘোষনা দিয়েছে তারা তাদের ম্যাসেজিং সিস্টেমে নিরাপত্তা বাড়াবে। এইজন্য ফেসবুকে End to End Encryption সিস্টেম চালু করবে। তবে হোয়াটসএপ অনেক আগে থেকেই নিরাপদ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত। বিশ্বের বড় বড় রাজনীতিবিদ ব্যাক্তিত্বরা নিরাপত্তার জন্য হোয়াটসএপ ব্যাবহার করে থাকে। এছাড়া হোয়াটসএপ ব্যাবহার করা তুলনামূলক অনেক সহজ।
ফেইসবুক আর হোয়াটসএপের মালিকানা একই। সাম্প্রতি ফেইসবুক কতৃপক্ষ হোয়াটসএপ কিনে নিয়েছে। হোয়াটসএপ এপ্সের প্রতিষ্ঠাতা একসময় ফেইসবুকে জব করতো। সেখানে বেতন নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তিনি সেই জব ছেড়ে দেন। তারপর জব ছেড়ে তিনি হোয়াটসএপ তৈরি করেন। তারপর আজকের দিনে বিপুল পরিমাণ ডলারের বিনিময়ে ফেইসবুক হোয়াটসএপ কিনে নেয়। যদি সেদিন ফেসবুক সেই কর্মীকে চাকরীচ্যুত না করতো,আজ হোয়াটসএপ তৈরি হতোনা।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।