স্নাক ভিডিও এপ্স আসার পরে টিকটক নড়েচড়ে বসেছিল। তারপর থেকে টিকটিক বাংলাদেশ ও ভারতের বাজারে বিজ্ঞাপন দেয়া শুরু করে দেয়। ইউটিউব, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোস্যাল সাইটে টিকটক তাদের বিজ্ঞাপনী কার্যক্রম চালায়। পাশাপাশি যারা নতুন ব্যাবহারকারী তাদের জন্য রেফার বোনাস দেয়া শুরু করে। নতুন কেউ টিকটকে জয়েন দিলেই,যার রেফারেন্সে জয়েন দিবে তাকে তাৎক্ষণিক ষাট টাকা সব সর্বমোট ২৪০ টাকা পর্যন্ত বোনাদ দেয়া হয়।
![]() |
টিকটকে রেফার মানি ট্রান্সফার বন্ধ করে দিলো |
এইভাবে রেফার বোনাস দিয়ে টিকটকের বাজার দখল শুরু করে স্নাক ভিডিও। তারপর টিকটকের ঘুম ভাঙ্গে। টিকটক বিভিন্ন অফার দেয়। একজন ব্যাক্তি টিকটকে জয়েন করার পরে, ২৫ মিনিট ভিডিও দেখা ২০ টাকার কতো আয় করতে পারে। সেই বিশ টাকা তাৎক্ষণিক সে মোবাইল রিচার্জ করতে পারে।
এই বিষয়টি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। দেখা যায়,যে ব্যাক্তি বছরে একদিন তার বন্ধুবান্ধবের কোন খোঁজখবর নেয়না, সেও টিকটকে বন্ধুদের ম্যাসেজ করে রেফার করে। ফলে টিকটক সহ স্নাক ভিডিও এপ্সের এইধরনের ম্যাসেজে অনেকেই বিরক্ত হয়ে, ফেসবুকে স্টেটাস দেয়।
বিষয়টি বিটিআরসির নজরে আসে। ফলে টিকটক থেকে তাৎক্ষণিক মোবাইল রিচার্জের যে সিস্টেম ছিল, সেটি বন্ধ করে দেয়। ফলে এখন থেকে কেউ টিকটক থেকে তাৎক্ষণিক মোবাইল রিচার্জ নিতে পারবেনা। হয়তোবা টিকটক কতৃপক্ষ মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রে তারা ভিন্ন কোন উপায় বের করতে পারে।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।