আমরা যারা স্মার্টফোন ক্রেতা, তারা সবাই ফোন কেনার আগে দ্বিধাদন্দ্বে থাকি যে ফোনটি কোথায় থেকে কিনলে ভালো হবে। অনেকে আবার গ্রাম থেকে জেলাশহরে যাই শুধুমাত্র স্মার্টফোন কেনার জন্য। অনেকে আবার জেলা শহরে ভালো শপ থাকা স্বত্তেও ঢাকা শহরের নামীদামী ব্রান্ডের দোকান থেকে মোবাইল ফোন কিনতে যায়। তারপরেও কি আমরা ফোন কিনে সন্তুষ্ট হতে পারি? কোনধরনের দোকান থেকে মোবাইল ফোন কেনা উচিৎ নয়, সেটিই আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়।
![]() |
যেসব দোকান থেকে ফোন কিনবেন না |
মোবাইল দোকানদার টাইপ একঃ ধরুন, আপনি কোন মার্কেটে মোবাইল ফোন কিনতে গেলে। গিয়ে দেখলেন দোকানে হালকাপাতলা ভিড় আছে। আপনি মোবাইল দেখছেন কিন্তু দোকানদার আপনাকে পাত্তাও দিচ্ছেনা। এমন ভাব ধরছে,মনে হয় আপনি নিলে নেন,না নিলে ভাগেন! টাইপ বিহেভিয়ার। এইধরনের দোকান থেকে ভুলেও স্মার্টফোন কিনবেন না। কারন একটি ফোন কেনার পরে আপনি এক বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন। শুরুতেই যদি দোকানদারের ব্যাবহার এমন হয়,তখন অদূর ভবিষ্যৎ উনাদের কাছে যখন কোন সমস্যা নিয়ে আসবেন,তখন তাদের ব্যাবহার কেমন হতে পারে, সেটা বুঝতেই পারছেন।
মোবাইল দোকানদার টাইপ দুইঃ আপনি একটি বাজেট স্মার্টফোন কিনতে গেলেন। যাবার আগে আমাদের সাইট থেকে বিভিন্ন বাজেটে সেরা স্মার্টফোনগুলোর দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে গেলেন। দোকানদার আপনাকে বুঝিয়ে অন্য ব্রান্ডের ফোন ধরিয়ে দেয়ার চেস্টা করলে, সেই দোকান থেকে ফোন না নেয়ার চেস্টা করবেন। নিলেও আমাদের সাইট থেকে সেই ফোনের রিভিউ ও মতামত দেখে,তারপর কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন।
মোবাইল দোকানদার টাইপ তিনঃ দোকান থেকে ফোন কেনার সময় অবশ্যই ইনটেক্ট প্যাকেট দেখে ফোন কিনবেন। আগে থেকে প্যাকেট ভাঙ্গা ছিল এমন ফোন না কেনার চেস্টা করবেন। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় ভাঙ্গা প্যাকেটে থাকা ফোনগুলো হয়তো কারো ব্যাবহার করা নয়তো কারো ফেরত দেয়া ফোন।
মোবাইল দোকানদার টাইপ চারঃ কিছুকিছু দোকানদার আছে বাজারের দামের প্রায় পাঁচশত টাকা বা তার কমে বিক্রি করে ফেলে। সেইসব ফোন সন্দেহজনক। কারন একটি ফোনে দোকানদার চাইলে সর্বোচ্চ দুই বা তিনশো টাকা কম মূল্যে বিক্রি করতে পারে। এরচেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করাটা সন্দেহজনক।
মোবাইল দোকানদার টাইপ পাঁচঃ ইভ্যালির দোকানদান থেকে ফোন কিনবেন না। এখনকার যুগে অনলাইন শপিং মার্কেটে যে ফোন বিক্রি হয়, সেটার বেশিরভাগ ক্রেতাই থাকে মোবাইলের ডিলার বা দোকানদার। অনলাইন শপে তাদের কেনা দামের চেয়ে কম মূল্যে ফোন কেনা যায়। তাই ফোনের লাঞ্চ ইভেন্টে যখন বিভিন্ন অনলাইন শপে বিশাল ছাড়ে বিক্রি করে,তখন তারা এইসব অনলাইন শপ থেকে কমদামে ফোন কিনে, বিক্রি করে। তারা ফোনের অফিশিয়াল দামের চেয়ে ছয় সাতশ টাকা কমে বিক্রি করতে পারে। মনে রাখবেন, এইসব দোকানদার থেকে ফোন কেনা,মানে আপনি তৃতীয় পক্ষ হয়ে ফোন কিনছেন।
মোবাইল দোকানদার টাইপ ছয়ঃ যারা ফোন কেনার পরে যখন ফোনটি অফিশিয়াল কিনা সেটি চেক করার পরে বলে,যে আপনার অফিশিয়ালি ম্যাসেজ আসতে দুই তিনদিন দেরী হবে। সেইসব দোকান থেকে ফোন না কেনার চেস্টা করবেন। কারন আমাদের দেশে এখন বেশিরভাগ ফোন বাংলাদেশে আসার পরেই, ইএমইআই নাম্বার বিটিআরসি সাইটে লিস্টিং করে ফেলে।
মোবাইল দোকানদার টাইপ সাতঃ এখনকার বাজারে বেশিরভাগ ফোনের ইনটেক্ট বক্সে বাংলাদেশের অফিশিয়াল ফোন চেক করার স্টিকার থাকে এবং ফোনটি যে অফিশিয়াল সেটির স্টিকার থাকে। এমন স্টিকার নেই,এইধরনের দোকান থেকে ফোন কিনবেন না।
মোটকথা, সম্ভব হলে স্মার্টফোনের অফিশিয়াল বা অথোরাইজেশন করা এমন দোকান থেকে মোবাইল ফোন কেনার চেস্টা করবেন। যদিও এখনকার দিনে অফিশিয়াল শপে অফিশিয়াল দামের চেয়ে ছাড় দেয়না, সেটা জানা কথা তবুও কিছু কিছু ব্রান্ডের অফিশিয়াল শপে আন্তরিকতার ঘাটতি থাকে। তাদের এমন ভাব থাকে,নিলে নিবেন,না নিলে যান। তাই অনেকেই অফিশিয়াল শপ থেকে না কিনে,মাল্টি ব্রান্ড বা ডিলার শপ থেকে ফোন কিনে থাকে।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।