src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> নগদে প্রতারক টাকা নিয়ে নিলে করনীয় কি?

নগদে প্রতারক টাকা নিয়ে নিলে করনীয় কি?

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আজকের দিনে এসে জনপ্রিয় হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি এই সিস্টেমকে অপব্যাবহার করে প্রতারণা করার মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আগের চেয়ে সহজলভ্য হচ্ছে। ফলে নগদে টাকা নিয়ে প্রতারনার পরিমানও একইসাথে বেড়েই চলেছে। কেউ নগদের নাহিদ সেজে টাকা নিচ্ছে কেউবা আবার অনলাইনে পন্য বেচাকেনার ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা নিয়ে পন্য দিচ্ছেনা। নগদে অনলাইন প্রতারকের ক্ষপড়ে পড়ে বা পন্য কেনায় প্রতারকের ক্ষপড়ে পড়ে টাকা চলে গেলে করনীয় কি,সেটা অনেকেই জানিনা যারা আজকের আর্টিকেল পড়তে এসেছেন তাদের নিশ্চই নগদ প্রতারকের ক্ষপড়ে পড়ে টাকা চলে গিয়েছে?

নগদে প্রতারক টাকা নিয়ে নিলে করনীয়
নগদে প্রতারক টাকা নিয়ে নিলে করনীয়

আপনার যদি নগদ প্রতারকের ক্ষপড়ে পড়ে নগদের টাকা চলে গিয়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক নগদ কাস্টমার সেন্টার নাম্বার ১৬১৬৭ নাম্বারে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। কোন নাম্বারে টাকা গিয়েছে,ঠিক কতটার সময়,কত টাকা পাঠিয়েছেন, টেক্সারআইডি নাম্বার সহ জানাম। তারপর যার নাম্বারে বা যার নগদ একাউন্টে টাকা চলে গিয়েছে সেই ব্যাক্তির সাথে ফোনে যোগাযোগ করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইসব নগদ প্রতারকের নাম্বার বন্ধ থাকে বা খোলা থাকলেও ফোন ধরতে চায়না।

আপনার নগদে পাঠানো টাকার অংক যদি বড় হয় তাহলে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করে, সেই জিডি কপি নিয়ে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করুন। তাহলে কাস্টমার কেয়ার আপনার টাকা আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ চেস্টাটুকু করবে।

মনে রাখবেন, আপনি যে ব্যাক্তির নগদ নাম্বারে ভুলে টাকা পাঠিয়েছেন সেই ব্যাক্তি যদি প্রতারণার ইচ্ছে না থাকে। তাহলে আপনি টাকা আদায় করতে পারবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কল সেন্টারে অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন পড়েনা। ব্যাক্তি ভালো হলে, এমনিতেই টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ব্যাক্তি যদি টাকা পেয়ে সাথেসাথে উত্তোলন করে ফেলে, সেক্ষেত্রে জিডি করা ছাড়া উপায় নেই। জিডি করলে পুলিশ তদন্ত করে সেই ব্যাক্তির ভোটার আইডির তথ্য অনুযায়ী ব্যাক্তিকে খুঁজে বের করবে। তারপর তার কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেস্টা করবে। তবে যারা নগদের নাহিদ সেজে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে, তাদেরকে ট্রেক করা কস্টসাধ্য। কারন তারা যেটা করে, পাগল,উদ্ভাস্তু,মৃত ব্যাক্তি এই ধরনের ব্যাক্তির আইডি কার্ড দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশন করে এবং সেটা দিয়েই নগদ একাউন্ট খুলে। ফলে তারা প্রতারণা করে টাকা নেয়ার পরে তাৎক্ষণিক টাকা অন্য নগদ একাউন্টে সরিয়ে ফেলে বা সেটা উত্তোলন করে ফেলে।

যদি কোন অনলাইন শপে নগদে টাকা পাঠিয়ে প্রতারণার স্বীকার হোন, নগদে টাকা দিয়ে পন্য বুঝে না পান, তাহলেও আপনি এই উপায়ে প্রথমে বিকাশ কল সেন্টার নাম্বারে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানাবেন। নগদ কল সেন্টার আপনার তথ্যের সত্যতা পেলে, সেই একাউন্টের টাকা উঠানো ব্লক করে দিবে। ফলে তাকে অবশ্যই সাত কর্মদিবসের মধ্যে নিকটস্থ নগদ কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে নিজের ভোটার আইডি কার্ড জমা দিয়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাক্তি যদি প্রতারক হয় তবে সে কাস্টমার সেন্টারে আসবেনা। তখন সাতদিন অতিক্রম হলে নগদ সেন্টার থেকে আপনার টাকা,আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে। যদি সে টাকাটি উত্তোলন করে না থাকে।

যারা নগদে প্রতারণার স্বীকার হয়ে টাকা চলে গিয়েছে,তারা তাদের করনীয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন আশারাখি।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post