src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> একটি ফোন যেভাবে দীর্ঘদিন ব্যাবহার করবেন

একটি ফোন যেভাবে দীর্ঘদিন ব্যাবহার করবেন

দীর্ঘদিন মোবাইল ফোন ব্যাবহার করার জন্য চাই,ভালো ব্রান্ডের ফোন। এখনকার বাজারে বেশিরভাগ ফোন দুই আড়াইবছর ঠিকঠাক চালানো যায়,তারপর একটা সময় এসে কোন না কোন সমস্যা দেখা দেয়। এখনকার সময়ে এসে কমন যে সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো শুরুতেই পাওয়ার বাটন বা ভলিউম বাটন নস্ট হয়। ফোনের এই পাওয়ার বাটন বা ভলিওম বাটন সারাতে বেশিরভাগ টেকনিশিয়ান পারেনা আর পারলেও আগের মতো হয়না।

একটি ফোন যেভাবে দীর্ঘদিন ব্যাবহার করবেন
একটি ফোন যেভাবে দীর্ঘদিন ব্যাবহার করবেন

এখনকার বাজারে ফোনগুলাতে পাওয়ার বাটনের উপর চাপ কমানোর জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেয়া হয়েছে। যার মাধ্যমে ফোন ব্যাবহার শুরু করা যায়। এছাড়া স্কিনশর্ট নেয়ার জন্য আলাদা সিস্টেম বের করেছে। যেখানে তিন আঙ্গুল বা দুই আঙ্গুলে ট্যাব করলে স্কিনশর্ট হয়ে যায়।

মোবাইল ফোনের বডি প্লাস্টিক হোক বা গ্লাসের হোক, টিকে একইসময়। গ্লাস হলে সমস্যা বেশি। হাত থেকে পড়লেই ফেটে যায়। প্লাস্টিক হলে হালকাপাতলা দাগ পড়ে। আপনি যত দাম দিয়ে ফোন কিনবেন, ততো বেশিদিন টিকবে সেই ধারনা সবসময়ের জন্য সত্যি নাও হতে পারে। যেমন এখনকার বাজারে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এমোলেড ডিসপ্লে ফোন দামী কিন্তু এই ফোনে হালকাপাতলা চাপ পেলেই ডিসপ্লে গোলাপি বর্ন ধারন করে। তারমানে আপনি টাকা দিয়ে বেশিদামী ফোন কিনলেই যে বেশিদিন টিকবে,সেটা পুরোপুরি সত্য নয়।

বাজারে বেশকিছু ব্রান্ডের ফোন আছে যেগুলা লোকজনের হাতে দীর্ঘদিন ব্যাবহার হয়ে আসছে। ভালো ব্রান্ডের হিসেবে স্যামসাং ব্রান্ডের ফোন একহাতে ব্যাবহার করলে দীর্ঘদিন ব্যাবহার করা যায়। অন্যদিকে দেশীয় ব্রান্ড হিসেবে সিম্ফনি ও ওয়াল্টনের ফোন দীর্ঘদিন ব্যাবহার করা যায়।

মোবাইল ফোন কেনার বছরখানেক পরেই সবার কমন যে সমস্যাটি হয়, সেটি হলো ব্যাটারির সমস্যা। দেড় বছর যাবার পরে থেকেই ব্যাটারি দূর্বল হওয়ার লক্ষন দেখানো শুরু হয়। সেইজন্য আমরা যা করতে পারি, আপনার ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনটি মাসে অন্তত একদিন রাতে বন্ধ করে রাখবেন। ফোন বন্ধ রাখলে ফোনের ব্যাটারি সহ সকল পার্টস বিশ্রাম পায়। এই সামান্য বিশ্রাম আপনার ফোনকে আরো দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে পারে।

ফোনের চার্জ কখনোই কোন অবস্থায় ৩৫% এর নিচে নামানোর চেস্টা করবেন না। এখনকার বাজারের বেশিরভাগ ফোনের যে ব্যাটারি দেয়া হয়, সেটি অনায়াসে দুইদিন ব্যাকাপ দেয়। তাই দুইদিনে একবার করে চার্জ দিবেন। যখন চার্জ দিবেন,একটানা চার্জ দেয়ার চেস্টা করবেন। ভেঙ্গেভেঙ্গে চার্জ দেয়া মোবাইল ফোনের ব্যাটারি লাইফের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এছাড়া আপনার যদি ইচ্ছে থাকে যে, ফোনটি দীর্ঘদিন টিকে থাকুক। আপনি যদি দীর্ঘদিন ব্যাবহার করতে চান,তাহলে ফোনের অপ্রয়োজনীয় কোন এপ্লিকেশন রাখবেন না। যথাসাধ্য চেস্টা করবেন, ফোনে গেইম না খেলতে। অনেকসময় দেখা যায় বাসায় বাচ্চারা গেইমস খেলে। গেইমস খেললে চার্জের ক্ষয় অনেকগুন বেশি হয়, সেটা সবাইই জানি। তাই ফোনে যাতে কোন গেইমস না থাকে, সেদিকে নজর রাখবেন। কারন মোবাইল গেইমস না খেললেও বেকগ্রাউন্ডে ডাটা ও চার্জ দুটোই ক্ষয় করে।

আপনার ফোনকে দীর্ঘদিন ব্যাবহার করার জন্য ফোনে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক যাতে শক্তিশালী হয় সেদিকে নজর দিবেন। ফোনের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক বা ফোন নেটওয়ার্ক দূর্বল সিগনালিং থাকলে সেটি ব্যাটারির ক্ষয় ঘটায়। ফলে ফোনটি অল্প দিনেই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়া যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বাহিরে চলাচল করেন, তারা জরুরী কথাবার্তায় বাটন মোবাইল ব্যাবহার করতে পারেন। তাতেকরে আপনার স্মার্টফোনের উপর চাপ কম হবে। একইসাথে ফোন ছিনতাই হওয়ার ঝুঁকিও কম হবে। যদি একান্তই বাহিরে ব্যাবহার করতে হয়, তাহলে ভালোমানের কাভার ব্যাবহার করতে পারেন।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post