src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> আমরা কেন অনলাইন ইনকামে ব্যার্থ হচ্ছি?

আমরা কেন অনলাইন ইনকামে ব্যার্থ হচ্ছি?

বর্তমান বাংলাদেশে দিনকেদিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী অনার্স মাস্টার্স পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হচ্ছে কিন্তু সেই তুলনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়না। ফলে সবাই চাচ্ছে ঘরে বসে কিভাবে অনলাইনে আয় করা যায়। বাসায় বসে অনেকে আবার মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। সেটা এক শ্রেনির ফ্রিল্যান্সার। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকা লাগে। এই প্রসঙ্গে পরের অংশে আসবো, আমরা কেন অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে ব্যার্থ হচ্ছি সেটাই আমাদের আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়।

আমরা কেন অনলাইন ইনকামে ব্যার্থ হচ্ছি
আমরা কেন অনলাইন ইনকামে ব্যার্থ হচ্ছি

আমরা অনলাইন ইনকামে ব্যার্থ হচ্ছি এটার পেছনে বেশকিছু কারন রয়েছে। সেই কারনগুলো উদঘাটন করতে পারলেই আপনি অনলাইনে আয় করে সফল হতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী।

অনলাইনে ইনকাম করার জন্য সবার প্রথমে যে মূলধন প্রয়োজন, সেটি হলো ধৈর্য। আপনার যদি ধৈর্য না থাকে তাহলে অনলাইনে আয় করার চিন্তা করাটাই আপনার ভুল হবে।  পড়াশুনো করার জন্য যেমন প্রতিদিন রুটিন থাকে। আপনি যদি লেখাপড়া করার পাশাপাশি অনলাইন ইনকাম করতে চান,তাহলে আপনার পড়ার দৈনন্দিন রুটিনের একটা অংশ অনলাইন কাজের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।

বাসায় বসে অনলাইন ইনকাম যারা করে, তাদের বড় একটা অংশকে বলা হয় ফ্রিলান্সার। অনেকে আমরা ফ্রিলান্সার কি সেটাই জানিনা। ঘরে বসে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে টাকা আয় করাকে ফ্রিলান্সার বলেনা। ঘরে বসে অনলাইন গেমসের নামে জুয়া খেলাকে ফ্রিল্যান্সার বলেনা। কাউকে রেফার কোড শেয়ার দিয়ে এপ্সে জয়েন করিয়ে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সার বলেনা। ফ্রিল্যান্সার তাদেরকেই বলে, যারা কোন কাজের বিনিময়ে চুক্তির মাধ্যমে টাকা আয় করে। যেমনঃ কোন ওয়েবসাইট বানিয়ে দেয়া, কোন ডিজাইন করে দেয়া,কোন লেখাকে ট্রান্সলেট করে দেয়া, এপ্স বানিয়ে দেয়া, বিভিন্ন সাইটে লেখালেখি করা, কোন ভয়েজ অংশকে ট্রান্সলেট করে দেয়া, কোন ভিডিওর অংশকে এডিট করে বানিয়ে দেয়া ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং কাজ যে সবসময় বাহিরের দেশের লোকের সাথেই চুক্তিতে হবে,সেটা কিন্তু নয়। দেশীয় অনেক ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করায়। তবে ফ্রিল্যান্সিং করে অধিক টাকা আয় করার জন্য ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকা লাগে। এখন বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্রিল্যান্সারদের ইংরেজি কোর্সে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত এসএসসি পাশ হতে হবে।

তবে আমরা যেটাকে ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম বুঝি সেটা আসলে কিন্তু কিন্তা ফ্রিল্যান্সিং না। আপনি ফেইসবুকে ঢুকলেই দেখবেন, এপ্সের রেফার কোড শেয়ার করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করুন। নির্দিষ্টতা টাকা জয়েনিং ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করুন। এই টাইপের নানান বিজ্ঞাপন পোস্ট আমরা দেখে থাকি। তারা আবার নিজেদের ফ্রিল্যান্সার দাবী করে থাকে। বাস্তবতা হলো এগুলা কোন ফ্রিল্যান্সিং করার ক্যাটাগরিতে পড়েনা। এগুলাকে বলে অনলাইন প্রতারণা। অনলাইনে আয় করার নামে, আমরা অনলাইন প্রতারকদের খপ্পরে পড়ি। ফলে আমাদের আয় অনলাইনে কাজ করা হয়না। বাস্তবিক অর্থে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে দক্ষতা থাকা লাগবে। যেমন ধরুন, আপনি ভালো ওয়েবসাইট বানাতে পারেন,সুন্দরভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং করতে পারেন। তখন আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যাসিং সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

ধরুন, আপনি এপ্স বানাতে পারেন। তখন একই নিয়মে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে এপ্স বানিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি ভালো ডিজাইনিং কাজ জানেন। তখন বিভিন্ন কোম্পানির পোস্টার বা ব্যানার ডিজাইনিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। ডাটা এন্ট্রি কাজে আপনার যদি ভালো দক্ষতা থাকে,তখন সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারবেন। আপনি এগুলার কিছুই পারেন না। গালফ্রেন্ডের সাথে দ্রুত চ্যাট করতে পারেন। আর সেটা যদি হয় বাংলাতে, তখন এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েও আপনি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। কিভাবে?  বিভিন্ন ব্লগ সাইট আছে সেখানে রাইটার খুঁজে থাকে। সেখানে লেখালেখি করে আয় করা যায়। এছাড়া ফ্রিল্যান্সার সাইট আছে যেখানে লেখালেখি করেও ভালো আয় করা যায়। আপনি যদি সারাদিন গালফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের সাথে চ্যাট না করে সেই সময়টা অনলাইন লেখালেখির কাজে ব্যায় করেন,তখন সেখান থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

আমরা অনলাইনে আয় করা বলতে যেটাকে সবাই বুঝি যে, কোন বিজ্ঞাপন দেখাবে, সেটা দেখে পয়েন্ট জমা হবে। সেই পয়েন্টকে টাকায় রূপান্তর করা হলো অনলাইন প্রতারণা ক্ষপ্পর, সেটা অনলাইনে আয় নয়। এইসমস্ত অনলাইন আয় সীমিত সময়ের জন্য।  এগুলা হলো অনলাইন ফাঁদ। এছাড়া আরো আছে যে, এপ্সে কাউকে রেফার করিয়ে সেই ব্যাক্তি এপ্স ডাউনলোড করে কিছুদিন ফোনে রাখলেই টাকা দেয়। এটা কখনো অনলাইন আয় হতে পারেনা। এতে করে টাকা পাওয়া যায় সেটা ঠিক আছে। তবে সেটা সীমিত সময়ের জন্য পাওয়া যায়।

আপনি যদি আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতার মাধ্যকে কোন চুক্তিভিত্তিক কাজের মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকেন, সেটাই অনলাইনে আয় বলে। হোক সেটা বিদেশী বা দেশীয় প্রতিষ্ঠান। এখন দেশীয় অনেক গার্মেন্টস প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ফ্রিল্যান্সারের মাধ্যমে ডিজাইন বানিয়ে সেই ডিজাইনিং করা কাপড় প্রিন্ট করে বাজারে বিক্রি করছে। এই কাজ করে অনেক হাজার হাজার টাকা আয় করছে। তবে একটা বিষয় বলে রাখা ভালো, অনলাইনে কাজ করার জন্য আপনার মোবাইল ফোন যথেষ্ট নয়। আপনার অবশ্যই ভালো কনফিগারেশনের কোন ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ লাগবে। সেটি নূন্মতম কোরাই ফাইভ এবং এইট জেনারেশন হতে হবে। র‍্যাম ভ্যারিয়েন্ট বেশি থাকতে হবে।

অনেকের আবার ভালো দক্ষতা থাকার পরেও পর্যাপ্ত সময় বা ধৈর্য থাকেনা। কারো কারো ধৈর্য থাকলে হাতে সময় থাকেনা। আবার কারো সময় থাকে কিন্তু ধৈর্য থাকেনা। আবার কারো ধৈর্য ও সময় দুটোই আছে কিন্তু শিক্ষাগত দক্ষতার ঘাটতি থাকে। তখন আমরা অনলাইন ইনকামে ব্যার্থ হই।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post