src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> দেশিয় মোবাইল ব্রান্ডের প্রধান সমস্যা কি?

দেশিয় মোবাইল ব্রান্ডের প্রধান সমস্যা কি?

আমাদের দেশীয় মোবাইল ব্রান্ডের মধ্যে ওয়াল্টন ও সিম্ফনি অন্যতম। এই দুটি ব্রান্ড মূলত বাংলাদেশ কেন্দ্রিক স্মার্টফোন ব্যাবসা করে থাকে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সিম্ফনি ও ওয়ালটন বাংলাদেশের বাহিরে ফোন বাজারজাতকরণের চেস্টায় আছে। আমাদের দেশীর স্মার্টফোন কোম্পানির কিছু সমস্যা রয়েছে। যারা কারনে কম বাজেটে ভালো স্পেসিফিকেশন দেয়া সত্বেও দেশীয় স্মার্টফোন ক্রেতাদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়না। আজকের আর্টিকেলে আমাদের দেশীয় স্মার্টফোন ব্রেন্ডের সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করবো।

দেশিয় মোবাইল ব্রান্ডের প্রধান সমস্যা
দেশিয় মোবাইল ব্রান্ডের প্রধান সমস্যা

আমাদের দেশীয় স্মার্টফোনের নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যাবহার করার জন্য বাহিরের দেশের কোম্পানির উপর নির্ভর করতে হয়। কারন আমরা আমাদের বাংলাদেশে নিজেদের উদ্ভাবনে ভালো প্রসেসর বানাতে পারিনা, আমরা চাইলে সুপার এমোলেড বা এর চেয়ে ভালো প্রযুক্তির ডিসপ্লে প্যানেল বানাতে পারিনা। এক্ষেত্রে আমাদের বাহিরের দেশ থেকে কিনে এনে ব্যাবহার করতে হয়। বাহির দেশ কখন কোন প্রসেসর বানাবে তখন তাদের থেকে কিনে এনে,আমাদের দেশীর স্মার্টফোনে তার ব্যাবহার করতে হয়।

তাছাড়া স্মার্টফোন বাজারে যখন কোন নতুন প্রযুক্তি আসে,তখন সেটার দাম ও চাহিদা দুটোই বেশি থাকে। তখন স্যামসাং,শাওমি, রিয়েলমি, ওয়ানপ্লাসের মতো ব্রান্ডগুলো তাদের ফোনে সবার আগে ব্যাবহার করতে চায়। যত দামই হোক,তারা তাদের ফোনে সেটি ব্যাবহার করতে চায়। অন্যদিকে নামীদামী ব্রান্ড হিসেবে তারা অগ্রাধিকার পায়। যেহেতু তারা আন্তর্জাতিক ব্রান্ড। অন্যদিকে আমাদের দেশীয় ব্রান্ড এগুলা কিনে এনে ফোনে ব্যাবহার করার মতো ঝুঁকি নিতে চায়না। হয়তোবা চেস্টা করলে সেই নতুন প্রযুক্তি এনে আমাদের দেশীয় ফোনে ব্যাবহার করতে পারবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে। দেশীয় ব্রান্ডেএ নতুন প্রযুক্তির উপর আমাদের দেশের মানুষের আস্থা থাকবে কিনা সেটা বলা যাচ্ছেনা।

যেখানে বাজারে স্নাপড্রাগন প্রসেসর যুক্ত ফোনের ছড়াছড়ি সেখানে আমাদের দেশীয় ব্রান্ডগুলো এখনো সেইভাবে স্নাপড্রাগন প্রসেসর ফোন আনতে পারেনি। এটার অন্যতম কারন হলো দেশীয় ব্রান্ডগুলো প্রিমিয়াম বাজেটের ফোন খুব কম বাজারে আনে। সাম্প্রতি ওয়াল্টন বাজারে প্রিমিয়াম বাজেট ফোন আনতে চেস্টা করছে। সিম্ফনি এখন পর্যন্ত বাজারে বারো হাজারের উপরের বাজেটে কোন এনেছে বলে আমাদের জানা নেই। সেক্ষেত্রে স্নাপড্রাগন প্রসেসর ব্যাবহার না করাটাই স্বাভাবিক। দেশীয় ব্রান্ডগুলো যদি সাহস করে প্রিমিয়াম বাজেট ফোন লাঞ্চ করতো তখন মানুষের মধ্যে আকর্ষন সৃষ্টি হতো। ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পেতো। দেশিয় স্মার্টফোন ব্রান্ডগুলো যদি মিড বাজেট বা আপার মিড বাজেট রেঞ্জে কিছু ভালো স্মার্টফোন লাঞ্চ করতো তখন সেটা সবার নজরে আসতো। পাশাপাশি দেশিয় ব্রান্ডের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পেতো। উদাহরনস্বরূপ বলা যায়,একই গার্মেন্টসের কাপড় একটি ব্রান্ড শপে বিক্রি হয় আরেকটি ফুটপাতে বিক্রি হয়। ব্রান্ড শপের দাম বেশি থাকে, ফুটপাতের দাম কম থাকে। সিম্ফনি ও ওয়াল্টনের ফোনগুলো যদি প্রিমিয়াম বাজেট রেঞ্জের হতো, তখন সেটি আমাদের দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠিত ব্যাক্তি/মডেল/সেলিব্রেটিদের হাতেহাতে থাকতো। তখন সেটার ব্রান্ড ভ্যালু অনেক বেশি থাকতো।

যদিও বাজারে থাকা দেশিয় ব্রান্ডের স্মার্টফোনগুলা যথেষ্ট পয়সা উসুফ ফোন। যা আপনি অনায়াসে দুই থেকে তিনবছর ব্যাবহার করতে পারবেন।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post