ইতিমধ্যে আন অফিশিয়াল ফোন নিয়ে আমাদের বাংলাদেশে সিদ্ধান্তে এসেছে। ২০২১ সালের পহেলা জুলাইয়ের আগে চালু থাকা সকল ফোন অটোমেটিক রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। পহেলা জুলাই থেকে যারা ফোন কিনবে সেগুলা সবই আন অফিশিয়াল ফোন হিসেবে বিবেচিত হবে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে,বিদেশ থেকে নিয়ে আসা ফোন কি,আন অফিশিয়াল ফোন হিসেবে বিবেচিত হবে?
![]() |
বিদেশ থেকে আনা আন অফিশিয়াল ফোন কিভাবে ব্যাবহার করবো |
এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যায়, একজন ব্যাক্তি দেশের বাহির থেকে আসার সময় সর্বোচ্চ দুইটি স্মার্টফোন নিয়ে আসতে পারবে। দেশের আসার পরে, যেদেশ থেকে ফোন কিনেছে, সে দেশের ক্রয়ের রশিদ ও ভিসার কপি দেখিয়ে ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করে অফিশিয়াল করে নেয়া যাবে।
এছাড়া কারো মনে প্রশ্ন থাকতে পারে কেউ যদি অবৈধভাবে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফোন নিয়ে আসে, সেটা কি অফিশিয়াল করা যাবে। এটার উত্তরে বলা যায়, বৈধপথে আনা সর্বোচ্চ দুইটা স্মার্টফোন আনা যাবে। এর বেশি ফোন আনলে সেটা নিবন্ধন করা যাবেনা।
এবার প্রশ্ন আসতে পারে, যেসকল স্মার্টফোন পহেলা জুলাই ২০২১ সালের আগে চালু ছিল, সেগুলা তো ইতিমধ্যে অফিশিয়াল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেগুলা কি অফিশিয়াল হিসেবে সার্ভিসিং করানো যাবে? এটার উত্তর, না। ফোন নাম্বার বা সিম নাম্বারের মাধ্যমে অফিশিয়াল হওয়া ফোনগুলো আপনি ফ্রিতে সার্ভিসিং করাতে পারবেন না।
বাহির থেকে আন অফিশিয়াল ফোন, অফিশিয়াল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করার পরে কি সেটি সমস্যা হলে, সার্ভিস সেন্টারে সার্ভিসিং করানো যাবে? অবশ্যই না। বাহির দেশ থেকে কেনা কোন ফোনই আপনি অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি পাবেন না।
এক্ষেত্রে বলা যায়, যদি ঝুঁকি নিয়ে কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য ফোন কিনতে চান, তাহলে বাহিরের দেশ থেকে ফোন কিনে নিয়ে আসতে পারেন।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।