src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> শাওমি মোবাইলের ভালো ও মন্দ দিক

শাওমি মোবাইলের ভালো ও মন্দ দিক

শাওমি রেডমি বা পকো যে নামেই বলিনা কেন মাদার ব্রান্ড একটাই। তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে স্মার্টফোন বাজারে বিভিন্ন ফোন নিয়ে আসে। আমরা যে কমদামে স্মার্টফোন পাচ্ছি সেটা সম্ভব হয়েছে অনেকটা শাওমির কারনেই। আজকের আর্টিকেলে শাওমির কিছু ভালো দিক ও মন্দ দিক আলোচনা করবো।

সকল প্রকার শাওমি রেডমি মোবাইলের বর্তমান দাম জেনে নিতে পারবেন বিডিস্টল.কম থেকে


Redmi মোবাইলের ভালো ও মন্দ দিক
শাওমি মোবাইলের ভালো ও মন্দ দিক

শাওমি এখনকার বাজারে প্রতিটি ব্রান্ডের সাথে তারা কম্পিটিশন করার চেস্টা করে। যখনই রিয়েলমি কোন নতুন ফোন লাঞ্চ করবে বলে,তখনই শাওমি একই স্পেসিফিকেশন দিয়ে কাছাকাছি দামের চেয়ে কিছুটা কম বা কিছুটা বেশি দামে বাজারে আরেকটি স্মার্টফোন লাঞ্চ করে দেয়। ফলে অন্য ব্রান্ডগুলো ফোনের দাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে অনেক ভেবেচিন্তে দাম নির্ধারণ করতে হয়। এই অবস্থাটি সৃষ্টি হতোনা,যদিনা শাওমি বাজারে না আসতো। শাওমি শুরুরদিকে স্যামসাং ব্রান্ডকে টেক্কা দিয়ে বাজারে আসে। শাওমি বাজারে আসার আগে স্যামসাং বেশি দামে ফোন লাঞ্চ করতো। খেয়াল করলে দেখবেন, শাওমি বাজারে আসার পরেও স্যামসাং কম বাজেটে ফোন আনতে শুরু করে। তারপর এই রেডমিকে কম্পিটিশন দেয় রিয়েলমি। রিয়েলমি আসার পর,শাওমি তাদের ফোন আরো কম দামে আনতে শুরু করে।
এককথায় এখনকার বাজারে কম বাজেটে বেশি স্পেসিফিকেশন দিয়ে ফোন আনার ক্ষেত্রে শাওমির তুলনা নেই।

শাওমি এখনো বাজারে সামনেপিছনে উভয়পাশে গ্লাস প্রোটেকশন দিয়ে ফোন আনে। এমনকি শাওমির অনেক ফোনেই গোরিলা গ্লাস ফাইভের প্রোটেকশন পর্যন্ত দেয়া থাকে। এখনকার বাজার চিন্তা করলে অনেক ব্রান্ড ফাইভ তো দূরে থাক, গোরিলা গ্লাসের প্রোটেকশনই দিতে নারাজ। সেখানে শাওমি এখনো তাদের ফোনে গোরিলা গ্লাসের প্রোটেকশন দিয়ে যাচ্ছে।

রেডমির ফোনগুলাতে এখনো যে কোয়ালিটির ব্যাটারি দেয়া হয়,তা অনেকক্ষেত্রেই দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি হয়। ফোনে ভালো ব্যাটারি ও চার্জার দেয়ার ক্ষেত্রে কোনপ্রকার কৃপনতা করেনা শাওমি।

শাওমি এখনো তাদের ফোনে যেকোনো সমস্যায় কাস্টমারের ফিডব্যাক নেয়। সেই অনুযায়ী ফোনে আপডেট দেয়ার চেস্টা করা হয়। এছাড়া শাওমির ফোনে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যে ক্যামেরা দেয়া হয়,সেটা অবশ্যই আজকের বাজারের সেরা ক্যামেরা।

এবার আসি, শাওমির কিছু নেগেটিভ দিক নিয়ে আলোচনায়ঃ শাওমি বাজারে কম বাজেটে ভালো স্পেসিফিকেশন দেয়,সবকিছু ঠিক আছে। সাম্প্রতি বাজারে শাওমির ১২.৫ যে আপডেট এসেছে সেই আপডেটে ফোন অনেকটাই স্লো হয়ে যাচ্ছে। অনেকের অভিযোগ তাতে করে বেটারি বেশি ক্ষয় হচ্ছে। এছাড়া শাওমির সাব ব্রান্ড পকোর ফোনগুলা যখন মিড বাজেটে বাজারে আসতে শুরু করেছে,তখন থেকেই শাওমির ফোনের সমস্যার সূত্রপাত। পকোর ফোন নিয়ে ব্যাবহারকারীদের অনেক অভিযোগ আছে। এছাড়া শাওমি বাজারে একের পর এক ফোন লাঞ্চ করেই যাচ্ছে। যার কারনে সাধারণ ব্যাবহারকারী তো দূরে থাক, আমরা যারা রিভিউ লিখি,তাদেরই বুঝতে কস্ট হয়,কোন ফোনে কি স্পেসিফিকেশন দেয়া। যেমনঃ শাওমি নোট নাইন ও নোট টেনে কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টে নানা রকম ট্যাগ দিয়ে ফোন লাঞ্চ করেছে। ফলে এতে ব্যাবহারকারীরা শাওমির ফোন নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে যায়। শাওমি মূলত তাদের প্রতিযোগী ব্রান্ডের সাথে বাজারে টিকে থাকার জন্য একের পর এক এইভাবে ফোন লাঞ্চ করে যাচ্ছে।

যত যাই হোক, শাওমি,রেডমি,এম আই,পকো যে নামেই বলিনা কেন,ব্রাড একটাই।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post