একটি স্মার্টফোন বিক্রি করে বিক্রেতা আমাদের কাছ থেকে কত টাকা মুনাফা লাভ করে! এটা নিয়েই অনেকের জানার আগ্রহ আছে। স্মার্টফোন বিক্রিতে লাভ কেমন হতে পারে, মোবাইল বিক্রি করে দোকানদার কত টাকা আয় করে এইসবকিছু নিয়েই আমাদের আজকের আর্টিকেল।
![]() |
মোবাইল ফোন বিক্রিতে কত টাকা মুনাফা হয় |
একটি স্মার্টফোন বিক্রি করে কত টাকা প্রফিট হবে,সেটা নির্ভর করে আপনি কোন ব্রান্ডের ফোন কিনতে যাচ্ছেন। বাজারে স্মার্টফোন কিনতে গেলে দোকানদার বলে,তাদের লাভ খুব সল্প বা তারা শুধুমাত্র কমিশনের বিনিময়ে ফোন বিক্রি করে। আদৌ কি সেটা সত্য?
আসলে,মোবাইক কিনতে গেলে আমরা যদি কোন অফিশিয়াল শপ থেকে কিনি তখন তারা অফিশিয়াল দামের চেয়ে খুব একটা কমে বিক্রি করেন না। অাবার কোন কোন অফিশিয়াল শপে অফিশিয়াল দামের চেয়ে এক টাকাও কম রাখেনা। মূলত তারা চাইলেই কিছুটা কম রাখতে পারে কিন্তু অফিশিয়াল শপের সুনামের কথা বিবেচনা করে তারা কম রাখতে পারেনা।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি, আপনি যে শপ থেকে স্মার্টফোন কিনছেন, সে দোকানদার কি হিসেবে ফোন কিনছে, সেটার উপর তার মুনাফা নির্ভর করে। সে যদি ডিলার হিসেবে ক্রয় করে,তাহলে অফিশিয়াল দামে বিক্রি করলে তার মুনাফা স্মার্টফোন ভেদে অন্তত ৫০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা থাকবে। ১৫ হাজার বাজেট ফোনে অন্তত ৬০০-৮০০ টাকা মুনাফা ছাড়া কেউই স্মার্টফোন বিক্রি করবেনা। সেটা যেই ব্রান্ডের হোক না কেন। বাজারে নতুন যখন কোন ব্রান্ড আসে,তখন সেটার মুনাফার পরিমান বেশি থাকে। যত নামীদামী ব্রান্ড, মুনাফা তত কম। তাই বাজারে যাবেন রিয়েলমি বা শাওমির ফোন কেনার কথা চিন্তা করে। দোকানদার আপনাকে টেকনো বা ইনিফিনিক্স বা আইটেল ব্রান্ডের ফোন কেনার পরামর্শ দিবে। তারা আপনাকে বুঝাতে চাইবে, শাওমির চেয়েও টেকনো সেরা। তারা যেভাবেই হোক আপনার কাছে তাদের বেশি মুনাফার ফোন বিক্রি করতে চাইবে।
অফিশিয়াল শপে ফোন মালিকদের নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন ও বোনাস দিয়ে থাকে। আর আন অফিশিয়াল শপের বিক্রেতা ফোনটি কোথায় থেকে নিয়ে বিক্রি করলো,সেটার উপর তার মুনাফা নির্ভর করে। বিক্রেতা যদি ডিলার থেকে কিনে,তখন মুনাফা কম হবে। যদি সরাসরি কোম্পানি থেকে নেয় তখন মুনাফার পরিমান বেশি হবে। তবে যেকোন ফোনের দামের ৮-১০% এর নিচে মুনাফা ব্যাতিত বিক্রি করেনা।
আপনি যদি গেজেট আইটেম বা স্মার্টফোনের ব্যাবসায় করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে বলা যায় মোটামুটি ভালো পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। ডিলারশপের মাধ্যমে করুন বা নানান ব্রান্ডের গেজেট আইটেম নিয়েই করেন না কেন, ভালো পরিমান অর্থ প্রয়োজন হবে। যেসকল শপে বেশি পরিমাণ ফোন বিক্রি করে,তারা চাইলে কিছুটা কম দামেও বিক্রি করতে পারবে। একটি স্মার্টফোনে মোটামোটি অনেক টাকা আটকে থাকে। সুতরাং রেগুলার ভিত্তিতে বিক্রি করলে সেল বেশি হয়,মুনাফা বাড়ে,শপের জনপ্রিয়তা বাড়ে।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।