আমরা অনেকেই বাজেট কমে ফোন কেনার কথা ভেবে থাকি। কথায় আছে,জিনিশ যেটা ভালো,দাম তার একটু বেশি। আপনি যদি কমদামী ফোনের অসুবিধা বুঝেন তাহলে কখনোই কম বাজেটে বেশি স্পেসিফিকেশন দেখে ফোন কিনতে চাইবেন না। যারা কম বাজেটের মধ্যে বেশি স্পেসিফিকেশন ফোন কেনার কথা ভেবেছেন,তারা ফোন কেনার আগে এই আর্টিকেল পড়ে নিন।
![]() |
কম বাজেটে ফোন কেনার অসুবিধা |
বাজারে আপনাকে কম বাজেটে দূর্দান্ত স্পেসিফিকেশন ফোন দেখাবে। যেগুলা ক্যামেরা মেগাপিক্সেল বেশি,ব্যাটারি বেশি,র্যাম রম বেশি। যদি আপনি এগুলা কিনেন ক্ষেত্রবিশেষে দেখবেন সেই ফোনের প্রসেসর পারফরমেন্স ভালোনা। কল কোয়ালিটি বা নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট স্পীড ভালো না। ফোনের ইন্টারনেট স্পিডই যদি স্লো হয় তাহলে বেশি র্যাম রম দিয়ে আপনি কি করবেন!
যেসব ব্রান্ড কম বাজেটে বেশি স্পেসিফিকেশন অফার করে তারা মূলত এইসব দিকগুলাতে নজর না দিয়ে,মানুষ যে দিকে আকর্ষন বেশি সেদিকে নজর দেয়। দোকানদার জানে,আপনি ফোন কিনতে গেলে প্রথমেই জিজ্ঞাসা করবেন র্যাম রম কত, প্রথমেই জিজ্ঞাসা করবেন ক্যামেরা মেগাপিক্সেল কত বা জিজ্ঞাসা করবেন ফোনের ব্যাটারি কত! তাই এখনকার বাজারে বেশিরভাগ ব্রান্ড নূন্মতম ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি দেয়,নূন্মতম ৩/৩২ ভ্যারিয়েন্টে র্যাম ও রম দেয়,নূন্মতম ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দেয়।
বাস্তবতা হলো, আপনাকে তারা ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি দিবে ঠিকই কিন্তু কোন ফাস্ট চার্জার দিবেনা। এটিই এইসব নিন্মমানের ব্রান্ডের কৌশল। ফাস্ট চার্জার না দিলে,আপনার ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি চার্জ করতে তিন থেকে চার ঘন্টা সময় নিবে।
বাস্তবতা হলো, আপনাকে ৩/৩২ র্যাম ও রম দিবে ঠিকই কিন্তু তারা প্রসেসর দিবে মিডিয়াটেক এ২৫ বা এ৩৫!!!
বাস্তবতা হলো, তারা আপনাকে বেশি মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিবে ঠিকই কিন্তু প্রসেসর দিবে মিডিয়াটেক। তারা আপনাকে স্নাপড্রাগনের প্রসেসর দিবেনা। কারন স্নাপড্রাগনের প্রসেসর দিলে ফোনের দাম বেশি পড়বে।
বাস্তবতা হলো, তারা সবকিছু ঠিকঠাক দিলেও দেখা যাবে টাইম সি চার্জিং পোর্ট দেয়নি। এখনো সেকালের টাইপ বি পোর্ট দিয়ে দিচ্ছে। তারা আপনাকে বিশাল সাইজের ডিসপ্লে দিবে কিন্তু ইউটিউব ভিডিও ৭২০ পি এর বেশি সাপোর্ট করবেনা। ফোন কেনার আগে, ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে দিচ্ছে কিনা জেনে ফোন কেনা উচিৎ। এইচডি প্লাস আর ফুল এইচডি প্লাসে পার্থক্য আছে। তাই অবশ্যই ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে আছে এমন ফোন কিনবেন।
তারা আপনাকে বিশাল ব্যাটারি,বেশি মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, বেশি র্যাম রম দিবে কিন্তু ফোনের ইন্টারনেট স্পীড কচ্ছপ গতিতে চলবে। তখন না পারবেন ব্যাবহার করতে,না পারবেন বিক্রি করে দিতে। তখন বাধ্য হয়েই ব্যাবহার করতে হবে।
তাই ফোন কেনার আগে ভালো ব্রান্ড দেখে ফোন কেনার চেস্টা করবেন। যে ব্রেন্ডের বাজারে প্রচুর সুনাম আছে এমন ব্রান্ডের ফোন কেনার চেস্টা করবেন। বাজারে নতুন এসেছে,বেশি স্পেসিফিকেশন বড় ডিসপ্লে দিচ্ছে এমন ফোন কিনবেন না।
মূলত এইভাবেই কম দামে বেশি স্পেসিফিকেশন দেয়া মোবাইল ব্রান্ডগুলো আমাদেরকে ঠকাচ্ছে।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।