আমরা যখন মোবাইল ফোন কিনি তখনই একটি চিন্তা মাথায় আসে যে,ফোনটি কতদিন ব্যাবহার করতে পারবো। একটি মোবাইলের আয়ূ কতদিন। কারন আমাদের ফোনের মূল্য ও আয়ূস্কাল ঠিকঠাক না হলে সেটা নীট ক্ষতি দাঁড়াবে। যারা আয়ূস্কাল বিবেচনায় স্মার্টফোন কিনবেন তাদের জন্যই আমাদের আজকের আর্টিকেল।
![]() |
একটি মোবাইল ফোনের গড় আয়ূ কত |
আপনার হাতের স্মার্টফোন কতদিন টিকবে সেটি নির্ভর করে আপনার ফোনের প্রসেসর ও র্যাম রমের উপর। আপনার স্মার্টফোন যদি মিডিয়াটেক বা গতানুগতিক সাধারন প্রসেসর হয় তবে সেটি দুই থেকে তিন বছর ব্যাবহার করার পরে ফোনে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যদি দীর্ঘদিন ব্যাবহার বিবেচনায় স্মার্টফোন কেনার কথা ভেবে থাকেন তাহলে অবশ্যই স্নাপড্রাগন প্রসেসর দিচ্ছে এমন স্মার্টফোন কেনার চেস্টা করবেন। কারন স্নাপড্রাগনের প্রসেসর আপগ্রেড প্রসেসর। স্নাপড্রাগনের প্রসেসর গরন হয় কম। যেহেতু গরম কম হয় সেহেতু মোবাইল ফোনটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।
দ্বিতীয়ত, ফোন কেনার সময় অন্তত তিন জিবি/বত্রিশ জিবি ভ্যারিয়েন্ট কেনার চেস্টা করবেন। এখনকার দিনে কম র্যাম ও রম ফোন কিনলে কয়দিন পরেই পস্তাতে হবে। তাই অবশ্যই অন্তত তিন/বত্রিশ ভ্যারিয়েন্ট কেনার চেস্টা করবেন।
এছাড়া ফোনের বিল্ট কোয়ালিটি বিবেচনায় স্যামসাং,সিম্ফনি, রেডমি সেরা চয়েজ হতে পারে। সিম্ফনি ও স্যামসাং ফোনের বিল্ট কোয়ালিটি দূর্দান্ত লেভেলের হয়। এছাড়া ফোনে যদি গোরিলা গ্লাস বা টেম্পার্ড গ্লাস প্রোটেকশন থাকে তাহলে তো খুবই ভালো হয়।
এখনকার দিন বিবেচনায় ফোনের ব্যাটারি অন্তত পাঁচ হাজার এমএইচের হওয়া উচিত। ব্যাটারি এমএইচ কম হলে পরবর্তীতে ফোন ব্যাবহার করে শান্তি পাবেন না। এখনকার দিনে ফোন কিনলে অবশ্যই অন্তত ষোলো মেগাপ্যাস্কেল ক্যামেরাযুক্ত ফোন কেনার চেস্টা করবেন। তাতেকরে দীর্ঘদিন ব্যাবহার করতে পারবেন।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।