src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> দশ হাজারের নিচে সেরা বাজেট ফোন কোনটি?

দশ হাজারের নিচে সেরা বাজেট ফোন কোনটি?

আপনার বাজেট যদি হয় দশ হাজার টাকা বা তারচেয়ে কম তাহলে আজকের আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্যই লিখা হয়েছে। বাজারে দশ হাজার বাজেট রেঞ্জে বেশকিছু ব্রান্ড রয়েছে। এমনকি আপনি এই বাজেটে রেডমি ও রিয়েলমির মতো ব্রেন্ডের ফোন ও পাবেন। আপনি চাইলে এই বাজেটে রিয়েলমির ফোন কিনতে পারেন। আপনি যদি ব্রান্ড বিবেচনায় ফোন কিনেন,তাহলে আপনি রিয়েলমির সি সিরিজের ফোনগুলো দেখতে পারেন। সেখানে আপনি স্পেসিফিকেশন কিছুটা কম পেলেও মোটামোটি ভালো মানের ফোন পেতে পারেন। কম বাজেটে রিয়েলমি সি সিরিজের ফোন যথেষ্ট ভালো।

দশ হাজারের নিচে সেরা বাজেট ফোন
দশ হাজারের নিচে সেরা বাজেট ফোন

এছাড়া আপনি যদি ভালো স্পেসিফিকেশন ফোন কিনতে চান, তাহলে আপন সিম্ফনি ব্রান্ডের ফোন দেখতে পারেন। একসময়কার মার্কেট কাপানো সেরা স্মার্টফোন ছিল সিম্ফনি। এখনো বাজারে সিম্ফনির দূর্দান্ত কিছু স্মার্টফোন বের হচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপগ্রেডেশন করতে না পারায় সিম্ফনি পিছিয়ে যাচ্ছে। সিম্ফনি বাংলাদেশি ব্রান্ড নয়। চীন থেকে আমদানি করে বাংলাদেশে বাজারজাতকরণ করা হয়। যাদের এখনো সিম্ফনি মোবাইল কেনা উচিৎ জেনে নিই।

আমরা যারা সিম্ফনি ব্যাবহার করেছি,তারা অবশ্যই জানি সিম্ফনি ফোনের ভালো দিক। যাদের বাজেট দশ হাজার টাকা বা তার কম তাদের অবশ্যই প্রথম পছন্দের তালিকায় সিম্ফনি হওয়া উচিৎ। এছাড়াও এখনকার বাজারে সিম্ফনি এগারো থেকে বারো হাজার কিছু ভালো ফোন এসেছে। সিম্ফনি কম বাজেটে আমাদের যা দিচ্ছে এখনকার যুগে অনেক নামীদামী ব্রান্ড এইসব সুবিধা দেয়না।

সিম্ফনি কম বাজেটে এমন ফোন দিবে যেটি আপনি দীর্ঘদিন ব্যাবহার করলেও সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কম। সিম্ফনির ফোনে টাচ কোয়ালিটি ও ডিসপ্লে তুলনামূলক ভালো দেয়। এছাড়া সিম্ফনির ক্যামেরা ভালো। একটাসময় সিম্ফনির ক্যামেরা নিয়ে অভিযোগ ছিল সে, সিম্ফনির ক্যামেরা নির্দিষ্ট সময় পরে খারাপ হয়ে যেত। তখন সিম্ফনিতে গতানুগতিক প্রসেসর ব্যাবহার করা হতো। এখনকার যুগে সিম্ফনির ফোনে অত্যাধুনিক প্রসেসর ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সিম্ফনি জেড ৪০ ফোনে মিডিয়াটেক হিলিও জি৩৫ প্রসেসর ব্যাবহার করা হয়েছে। যা একসময়কার গেমিং প্রসেসর হিসেবে ব্যাপক সুনাম ছিল। এখনকার বাজারে অন্য এমন অনেক ব্রেন্ড আছে, যারা তেরো হাজার বাজেটেও এত ভালো প্রসেসর দেয়না।

সিম্ফনির সাম্প্রতিক বাজারে আসা সিম্ফনি জেট ৪০ ফোনে যে স্পেসিফিকেশন দিচ্ছে সেটি এই বাজেটে অনেক ফোনই দেয়না। যাদের বাজেট অন্তত বারো হাজার টাকা। বারো হাজার বাজেটে যারা ফোন কেনার কথা ভেবেছেন তারা একবার সিম্ফনির ফোনগুলো দেখে আসতে পারেন।

এছাড়া সিম্ফনির ফোনে যে চার্জার দেয়া হয়, যদিও ফাস্ট চার্জার নয় তবুও চার্জার কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো। চার্জারের ক্যাবলের কোয়ালিটিও অনেক ভালো। সিম্ফনি জেড ৪০ ফোনে টাইপ সি ক্যাবল দেয়া হয়েছে যেখানে বর্তমানে বাংলাদেশে ১৪/১৫ হাজার বাজেট ফোনেও ক্ষেত্রবিশেষে টাইপ সি ক্যাবল দেয়না,সেখানে সিম্ফনি মাত্র সারে এগারো হাজার টাকা বাজেজমা ফোনে টাইপ সি ক্যাবল দিচ্ছে। দেশীয় ব্রান্ড হিসেবে সিম্ফনি তাদের সাধ্যানুসারে কম বাজেটে ভালো মানের স্মার্টফোন দেয়ার চেস্টা করে যাচ্ছে।

এছাড়া বাজারে এই দশ হাজার বাজেটে ওয়ালটনের কিছু দূর্দান্ত লেভেলের স্মার্টফোন আছে। এছাড়া আইটেল ভিশন সিরিজের ফোন পাবেন, দশ হাজার বাজেট রেঞ্জের মধ্যেই। টেকনো ব্রান্ডের ফোন ও আপনি এই ১০ হাজার বাজেট রেঞ্জে পেতে পারেন।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post