src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> কমদামী বেশি স্পেসিফিকেশন ফোনের অসুবিধা

কমদামী বেশি স্পেসিফিকেশন ফোনের অসুবিধা

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কমদামে বেশি সুবিধাযুক্ত ফোন দেখে পাগল হয়ে যায়। যারা কম বাজেটে বেশি স্পেসিফিকেশন যুক্ত ফোন কিনতে চান, তারা অন্তত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে একবার পড়ে নেয়া উচিত।

কমদামী বেশি স্পেসিফিকেশন ফোনের অসুবিধা
কমদামী বেশি স্পেসিফিকেশন ফোনের অসুবিধা

আপনি বাজারে গেলে ১৫ হাজার বাজেটে রিয়েলমি ফাইভ আই কিনবেন বা রিয়েলমলির অন্য কোন ফোন কিনবেন। তখন দোকানদার আপনাকে এমন এক ফোন দেখালো যেটির ক্যামেরা মেগাপিক্সেল বেশি বা র‍্যাম রম বেশি কিন্তু দাম আপনার বাজেটের সমান বা এক দেড় হাজার টাকা কম। আপনি ভাবলেন, কম টাকায় বেশি স্পেসিফিকেশন ফোন পেলে ক্ষতি কি!

আসলে আগে একটাসময় আমরা র‍্যাম রম হিসেব করতাম। এখনকার যুগে র‍্যাম রমের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফোনের প্রসেসর। কারন যতই ৪৮/৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা হোক না কেন,প্রসেসর যদি ভালোমানের না হয়,আপনার ফোনে ভালো ছবি আসবেনা।

আরেকটি সমস্যা, এখন প্রায় সব মোবাইল ব্রান্ড ৫০০০ এমএইচের ব্যাটারি দেয় কিন্তু ফাস্ট চার্জার অনেক ব্রান্ড দেয়না। অনেক ব্রান্ড আছে যারা বক্সে লিখে ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার সাপোর্টেড কিন্তু বক্সে দেয় ১০ ওয়াটের নরমাল চার্জার। এইধরনের ব্রান্ডের ফোন এড়িয়ে চলাই ভালো।

দোকানে বা মোবাইল শপের আলোতে তোলা ছবি দেখে,ফোন কিনবেন না। ফোনের দোকানে এমনভাবে লাইটিং করা থাকে যে, সেখানে সব ফোনের ছবিই একরকম মনে হবে। আপনি যদি ছবি তোলার জন্য ফোন কিনতে চান,তাহলে অবশ্যই স্নাপড্রাগনের প্রসেসর আছে এমন ফোন কেনার চেস্টা করবেন। ক্যামেরা মেগাপিক্সেল কম হোক সেটা সমস্যা না।

বাজারে নতুন স্মার্টফোন ব্রান্ডগুলো বিশাল ডিসপ্লে ও বেশি র‍্যাম&রম ফোন বাজারে নিয়ে আসে। আপনি এইসব বেশি স্পেসিফিকেশন ফোন কেনার পর বেশিরভাগ সময় দেখবেন যে,চার্জার দূর্বল,চার্জ দিতে বেশি সময় নেয়। বক্সে নূন্মতম ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার দেয় এমন ফোন কেনার চেস্টা করবেন। দ্বিতীয়ত, দেখা যায় অনেক কম বাজেটে বেশি স্পেসিফিকেশন ফোনের নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি ভালো হয়না,ইন্টারনেট স্পিডে ব্যাপক তফাৎ লক্ষ করা আয়।বাজারে জনপ্রিয়,স্যামসাং,শাওমি,রিয়েলমির ফোনগুলাতে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট স্পিড কোয়ালিটি বেশ ভালো থাকে। 

তাছাড়া ফোন কেনার আগে সেই ফোনটি এইচডি প্লাস ডিসপ্লে দিচ্ছে নাকি ফুল এইচডি দিচ্ছে সেটা জেনে নিবেন। ভালো ব্রান্ডের ফোনে ফুল এইচডি ডিসপ্লে ফোন দিয়ে থাকে।

কোন ফোনে র‍্যাম রম বেশি, ডিসপ্লে সাইজ বড় কোন ভালো ফোনের উদাহরণ হতে পারেনা। ভালো ফোনে ভালো আপগ্রেডেশন প্রসেসর থাকবে,নূন্মতন ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার থাকবে, ক্যামেরা অন্তত ৪৮ মেগাপিক্সেল হবে।

আর যে ব্রান্ড আপনাকে ১০ ওয়াটের চার্জার দিয়ে, মিডিয়াটেক প্রসেসর দিয়ে,বিশাল সাইজের ডিসপ্লে,৬/১২৮ জিবি র‍্যাম,রম দিচ্ছে সেটি কখনো পয়সাউসুল ফোন হতে পারেনা। কম বাজেট দেখে এইসব ফোন না কেনার চেস্টা করবেন।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

Previous Post Next Post