যেকোন ফোনের ক্ষেত্রে সেই ফোনের ওজন অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। ফোন কেনার সময় হয়ত আমরা ফোনের ওজন কতটুকু সেটার দিকে তাকাই না। যখন ফোন ব্যাবহার শুরু করি তখন ফোনের ওজনের গুরুত্ব বুঝি। ফোনের ওজন কম বা বেশি হলে যেসব সমস্যা হয় সেগুলাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
![]() |
ফোনের ওজন কতটা গুরুত্বপূর্ণ জেনে নিন |
যারা চ্যাট করার জন্য ফোন ব্যাবহার করি,দীর্ঘক্ষন চ্যাট করার পরে হাত ব্যাথা হয়ে যায়। অনেকসময় হাত থেকে ফোন পড়ে যেতে পারে,যদি ফোন হাতের সাথে ঠিকভাবে ক্ষাপ না খায়। তাই যারা নিয়মিত ফোন দিয়ে চ্যাট করি,তাদের উচিৎ সর্বোচ্চ সারে পাঁচ ইঞ্চির উপরে কোন ফোন না কেনা। সারে পাঁচ ইঞ্চির উপরের ফোনে চ্যাট করে তেমন সুবিধা পাওয়া যায়না।
আবার যারা গেমস খেলে বা গেমিং করে, তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা বড় সাইজের ফোন প্রয়োজন হয়। বড় সাইজের হলেও সেই ফোনের ওজন যদি ভারী হয় তাহলে ফোন গেমিং করার ক্ষেত্রে ব্যালেন্স ঠিক রাখা সম্ভব নয়।
যারা ফটোগ্রাফি করার জন্য ফোন কিনে থাকে বা দীর্ঘক্ষন ফোন পকেটে রাখতে হয়, তাদের জন্য অন্য আরেক বিড়ম্বনার নাম বড় ডিসপ্লে ফোন। সর্বোচ্চ সারে পাঁচ ইঞ্চির ফোন আপনার পকেটে রাখার জন্য উপযুক্ত। সাইজ বেশি বড় হলে সেই ফোন পকেটে রেখে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন না।
বেশি ওজনের ফোনে বেশিরভাগ অসুবিধা থাকে। হাতে নিয়ে চলাফেরা করা, চ্যাট করার সময় হাতের উপর চাপ, হাত ব্যাথা সহ নানান সমস্যা হয়। বাজেট কম পেয়ে বড় সাইজের ফোন না কেনাই ভালো। আপনার যদি বড় সাইজের ফোন পছন্দ থাকে তাহলে আপনি আরো কম বাজেটে বড় ট্যাব কিনতে পারেন। হাতের প্রেশারের কথা ভেবে হলেও বেশি ওজন বা বড় সাইজের ফোন না কেনাই ভালো।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।