আমাদের অনেকের প্রশ্ন থাকে রিয়েলমি কিভাবে কমদামে এত বেশি স্পেসিফিকেশন ফোন বানায়। বাজারে কিভাবে রিয়েলমি ব্রান্ড এত অল্প সময়ে এত বেশি জনপ্রিয়তা পেলো সেটি নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থেকে যায়। শাওমি বা রেডমি যে দামে যা দিচ্ছে, রিয়েলমি তারচেয়ে কম দামে একই স্পেসিফিকেশনে কোন কোন ক্ষেত্রবিশেষে এরচেয়ে বেশি স্পেসিফিকেশনে আমাদের ফোন দিচ্ছে। আজকের আর্টিকেলে রিয়েলমি ব্রেন্ডের দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারন ও কম দামে বেশি স্পেসিফিকেশন দেয়ার রহস্য জানবো।
![]() |
Realme Mobile |
আমরা অনেকেই জানি বা অনেকে জানিনা, রিয়েলমির কিন্তু অপ্পোর সাব ব্র্বান্ড। অপ্পো থেকে প্রথমে ভিভোর জন্ম। তারপর সেই অপ্পো থেকে রিয়েলমির জন্ম। তারপর আবার ওয়ানপ্লাসের জন্ম। সবার মাদার ব্রান্ড এই অপ্পো। যেহেতু রিয়েলমির জন্য এই অপ্পো থেকে সেহেতু প্রথমদিকে রিয়েলমি অপ্পোর ফেক্টরি থেকে শুরু করে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে। অপ্পোর একইসাথে অনেকগুলা সাব ব্রান্ড বাজারে থাকার কারনে,তারা যখন কোন যন্ত্রাংশ কিনে তখন পাইকারি দামে অধিক পরিমানে কিনতে পারে। যার ফলে ফোনের উৎপাদন খরচ অনেকাংশে কম হয়। উৎসাদন খরচ কম হওয়ার ফলে তারা বাজারে প্রতিযোগী স্মার্টফোন কোম্পানির তুলনায় কমদামে বেশি স্পেসিফিকেশনে ফোন আনতে পারছে। অনেকক্ষেত্রে রিয়েলমির ফোন বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে তারা সরাসরি অপ্পো ডিলার ও শোরুম ব্যাবহার করে বাজারে উঠে এসেছে। ফোন মার্কেটিং করার জন্য ডিলার নিয়োগ দেয়া,শোরুম ভাড়া করা, কর্মী নিয়োগ দেয়া,কর্মী প্রশিক্ষন দেয়া, গোডাউন ভাড়া করা ইত্যাদি কোনপ্রকার ব্যায় করতে হয়নি। প্রাথমিক অবস্থায় কোন নতুন স্মার্টফোন ব্রেন্ডের বড় বড় যে খরচগুলো করতে হয়, রিয়েলমির ক্ষেত্রে এগুলার কোনটিই করতে হয়নি। তাই শুরুরদিকে বাজারে এসেই রিয়েলমি কম বাজেটে বেশি স্পেসিফিকেশন ফোন দিতে পেরেছিল। পাশাপাশি খুবই অল্প সময়ে দেশের বাজারে রিয়েলমি জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।