src='https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'/> Poco M2 Vs Poco M3||পকো এম টু বনান এম থ্রি

Poco M2 Vs Poco M3||পকো এম টু বনান এম থ্রি

আমাদের বাংলাদেশের বাজারে নতুন Poco M3 নামে স্মার্টফোন ব্রান্ড বাজারে এসেছে। তারই কিছুদিন আগে এসেছিল Poco M2 স্মার্টফোন। দুটোর দাম ও স্পেসিফিকেশন প্রায় কাছাকাছি। যারা এই ২০২০ সালের শেষ ও ২০২১ সালের শুরুতে নতুন বছরে আগমনী উপলক্ষে নতুন স্মার্টফোন কিনবেন বলে এতদিন ভেবেছিলেন,আজ তারা দ্বিধায় পড়ে গিয়েছেন। আপনাদের এই মনের দ্বিদ্ধা দূর করার জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেল লিখা হয়েছে।

poco m3 vs m2
Poco M2 vs Poco M3

Poco M2 ফোনটির দাম রাখা হয়েছিল ১৫ হাজার ৯৯০ টায়া যা ৬/৬৪ ভ্যারিয়েন্টে আপনি পাবেন। আরেকটি ৬/১২৮ ভ্যারিয়েন্টে পাবেন, যার দাম ধরা হচ্ছে ১৬ হাজার ৯৯০ টাকা। Poco M3 ৪/৬৪ ভ্যারিয়েন্ট দাম রাখা হচ্ছে ১৪,৯৯০ টাকা। আমাদের আজকের আর্টিকেলে Poco M2 Vs Poco M3 ফোনের  প্রধান প্রধান আকর্ষণীয় দিকগুলো,কেন আপনি Poco M2 অথবা Poco M3 ফোনটি কেনা উচিৎ আর কেনই কেনা উচিৎ নয়,এই সব দিকগুলো আলোচনা করা হবে।

Poco M2 বা Poco M3 ফোনটির মূল আকর্ষন হিসেবে যা যা থাকছেঃ
★ Poco M2 ফোনটিতে রয়েছে ৫০০০ এমএইচ ব্যাটারি সাথে ১৮ ওয়াটের দূর্দান্ত ফাস্ট চার্জার পাচ্ছেন। যা আপনি Poco M3 তে পাচ্ছে ৬০০০ এমএইচ ব্যাটারি পাবেন। যা Poco M2 থেকে ১০০০ এমএইচ ব্যাটারি বেশি।
★ দুটো ফোনই ওজনে অনেক কম। সাইজ প্রায় সমানে সমান।
★ Poco M2 ফোনে থাকছে রিয়েলমির দূর্দান্ত ক্যামেরা সেটাপ ১৩+৮+৫+২ মেগাপিক্সেল। যা এই বাজেটে এতো ভালো ক্যামেরা সেটাপ আগে কেউ দেয়নি। Poco M3 তে ক্যামেরা সেকশনে পকো এম টু থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকবে। পকো এম থ্রিতে দেয়া হয়েছে ৪৮+২+২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেটাপ। এখানে প্রাইমারী ক্যামেরা দূর্দান্ত পাচ্ছেন। এই বাজেটে ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারী ক্যামেরা অন্য কেউ আগে কোনদিন দেয়নি।
★ দুইটাতেই পাচ্ছেন গোরিলা গ্লাস থ্রি এর প্রোটেকশন।
★ Poco M2 মোবাইল'টিতে আপনি পাচ্ছেন মিডিয়াটেকের হিলিও জি ৮০ প্রসেসর। যারা মিডিয়াটেক হিলিও জি ৮০ প্রসেসর সম্পর্কে জানেন,তারা বলতে পারবেন, এই প্রসেসর কতটা দূর্দান্ত পারফরমেন্স করে। যার গেমিং প্রসেসর হিসেবে ব্যাপক  সুখ্যাতি আছে।
আর Poco M3 আপনি প্রসেসর হিসেবে পাচ্ছেন স্নাপড্রাগন ৬৬২ প্রসেসর। মিডিয়াটেক আর স্নাপড্রাগন প্রসেসরে পার্থক্য যারা বুঝেন, তাদের আর নতুন করে বুঝানোর প্রয়োজন নেই।

Poco M2 বা Poco M3 ফোনটির নেগেটিভ দিক বিবেচনায় যেগুলা আসছেঃ
★ পকো এম থ্রি দাম তুলনামূলক অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। আরো ১হাজার টাকা কম রাখলেও পারতো তবে ব্রান্ড ভ্যালু হিসেবে ঠিক আছে। রিয়েলমি এক্ষেত্রে কিছুটা ঠিক দামই রেখেছে।
★ পকো এম টু ফোনের ক্যামেরা আরেকটু বেশি দেয়া যেত।
★ পকো এম টু'তে প্রসেসর সেকশনে আরেকটু নজর দিলে ভালো হতো। স্নাপড্রাগনের প্রসেসর দিলে ভালো হতো। আর Poco M3 তে আরেকটু আপগ্রেড ভার্সনের প্রসেসর দেয়া উচিৎ ছিল।
★ ডিসপ্লে ফুল এইচডি প্লাস দিলে এই ফোনটি হতো মিড বাজেট কিলার। Poco M3 আপনাকে ফুল এইচডি প্লাস ডিসপ্লে দিচ্ছে। এখানে Poco M3 নিয়ে সমালোচনা করার সুযোগ নেই।

Poco M2 বা Poco M3 ফোনটি যাদের কেনা উচিতঃ যারা মিড বাজেটে শাওমির ভালো ফোন কেনার কথা দীর্ঘদিন ধরে ভাবতেছিলেন, তারা চোখ বন্ধ করে পকো এম থ্রি এই ফোনটি কিনে ফেলতে পারেন। এই বাজেটে পকোফোন ব্রান্ড যা আপনাকে দিচ্ছে, দৈনন্দিন ব্যাবহারে দূর্দান্ত পারফরমেন্স আপনি পাবেন, এতটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন। যারা দূর্দান্ত ডিজাইনিং ফোন চান, তারা Poco M3 ফোনটি চোখ বন্ধ করে নিতে পারে। Poco M3 ডিজাইনে আপনাকে মুগ্ধ করে দিবে। যেহেতু পকো এম থ্রি, পকো এম টু থেকে অনেকটা আপগ্রেডেশন স্পেসিফিকেশন নিয়ে বাজারে এসেছে। তার উপর দাম ও কম ধরা হয়েছে, সেহেতু আপনি পকো এম থ্রি'র ফোনটি কিনতে পারেন।

Poco M2 বা Poco M3 ফোনটি যাদের কেনা উচিত নয়ঃ যারা হ্যাবি গেমিং করেন,তাদের জন্য এই ফোন না। যেহেতু Poco M2 তে মিডিয়াটেক প্রসেসর থাকবে,সেহেতু টুকটাক হিটিং ইসুৎ পাবেন। তাছাড়া গতানুগতিক দৈনন্দিন সোস্যাল মিডিয়া ফটোগ্রাফি করার জন্য এই ফোন চলার মতো। যারা প্রিমিয়াম ডিজাইনিং করা ফোন খুজছিলেন, তাদের এটি কেনা উচিৎ নয়। প্রিমিয়াম ডিজাইন চাইলে আপনি Xiaomi Poco M3 ফোনটি দেখতে পারেন। প্রায় একই ধাচের স্পেসিফিকেশন নিয়ে,সাথে দূর্দান্ত ডিজাইন পাচ্ছেন। যা অনেকটা প্রিমিয়াম লুক দিবে।

আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।


এটিই একমাত্র বাংলা মোবাইল রিভিউ ওয়েবসাইট। যেখানে বাংলায় মোবাইল ফোনের বিস্তারিত রিভিউ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি রিভিউ শেষে আমাদের নিজস্ব কিছু মতামত থাকে। যেই মতামতের উপর ভিত্তি করে আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়। আপনাদের সকলের সাপোর্ট,আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
মোবাইল বিষয়ক উপরের সকল তথ্যের শতভাগ গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দিচ্ছিনা কারন সকল তথ্য কোন কোন ওয়েবসাইট মাধ্যম বা সোর্স থেকে সংগ্রহীত হয়ে থাকে। তবে যখন কোন স্মার্টফোন ব্রান্ড বা প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে রিভিউ ইউনিট দিয়ে থাকে, তখন সেইসকল রিভিউ শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি।

Previous Post Next Post