নতুন ফোন কেনার পর অনেকেই অভিযোগ করে থাকে যে তাদের ফোনের ইন্টারনেট স্লো কাজ করে। এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনার ইন্টারনেট স্পিড নতুন ফোনেই স্লো নাকি আগে যে ফোনে ব্যাবহার করতেন সেখানেও স্লো ছিল। যদি আপনি আগে এই সিম ব্যাবহার না করে থাকেন, তাহলে আপনার সিমের নেটওয়ার্ক স্পিড আপনার এলাকায় কেমন, সেটি আশেপাশের মানুষের কাজ থেকে জেনে নিতে পারে। যারা এই সিমে ইন্টারনেট ব্যাবহার করে,তাদের কেউ জানাশুনা থাকলে তার কাছ থেকে জেনে নিন।
![]() |
New mobile net slow issue |
আমরা নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় যখন কোন মোবাইল শোরুমে যাই,তখন দেখা যায় ফোন কেনার জন্য যখন বাসা থেকে বের হই,তখন পরিকল্পনা থাকে একরকম। যখন ফোন কেনার জন্য মার্কেটে যাই, শোরুমের বিক্রেতা আমাদেরকে মগজধোলাই করে, অন্য কোন ফোন ধরিয়ে দিতে চায়। যা বাজারে নতুন এসেছে। স্পেসিফিকেশন অনেক দেয়া হয়েছে কিন্তু দাম তুলনামূলক কিছুটা কম। যা আপনার বাজেট থেকে এক বা দেড় হাজার কম। স্পেসিফিকেশন অনেক বেশি। সাধারনত দোকানদারের মগজধোলাইয়ের স্বীকার হয়ে যারা এইধরনের নিন্মমানের ফোন কিনে থাকি,তাদের ফোনগুলাতে ফোনের ইন্টারনেট স্পিড কম হয়ে থাকে। তাই ফোন কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো ব্রেন্ডের ফোন কেনার চেস্টা করবেন। বাজারে বেশি যেগুলা বিক্রি হচ্ছে সেগুলা কিনবেন। যেই ব্রেন্ড দীর্ঘদিন ধরে বাজারে সুনামের সাথে টিকে আছে। যে স্মার্টফোন ব্রেন্ডের বাজারে প্রচুর সুনাম রয়েছে সেইসকল ব্রেন্ডের স্মার্টফোন কেনার চেস্টা করবেন। তুলনামূলক কমদামে পেয়ে বেশি স্পেসিফিকেশন দেখে ফোন কিনবেন না। ফোন কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্রান্ড ভ্যালু বিবেচনা করে ফোন কিনবেন। বাজারে যে ফোনের দাম ৩০ হাজার টাকা, একই স্পেসিফিকেশন দিয়ে চাইলে ১৫ থেকে ১৭ হাজারে অন্য কোন ব্রান্ড ফোন আনতে পারে কিন্তু সেই ফোন ব্যাবহার করার কিছুদিন পরে নেটওয়ার্কিং সমস্যার পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মূখীন হবেন। কম দামে বেশি স্পেসিফিকেশন ফোন না কেনার চেস্টা করবেন। যদিও কিনেন, তাহলে যারা সেই ফোনটি ইতিমধ্যে কিনেছে, তাদের এক বা একাধিক ব্যাক্তির মতামত নিয়ে তারপর কেনার চেস্টা করবেন। আমাদের সাইটে প্রতিটি ফোনের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বা ব্যাবহারকারীদের মতামত দেয়া হয়। চাইলে আমাদের সাইট নিয়মিত ফলো করতে পারেন।
আপনার নতুন ফোনের ইন্টারনেট স্পীডের অবস্থা যদি খুবই খারাপ হয়,তাহলে অবশ্যই ওয়ারেন্টি থাকাকালীন সময়ের মধ্যে ফোনটি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে পারেন। ফোনটি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যাবার আগে অন্য কোন সিম লাগিয়ে,নেটওয়ার্ক স্পিড চেক করে নিবেন।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। কোন জানার বা মন্তব্য থাকলে মন্তব্য করতে পারেন। স্মার্টফোন বিষয়ক নিত্যনৈমিত্তিক অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।