বর্তমানে বাজারে নতুন ফোন কিনতে গেলেই রিফ্রেশরেট বলে এক শব্দ শোনা যায়। ৬০ হার্জের রিফ্রেশরেট, ৯০ হার্জের রিফ্রেশরেট, ১২০ হার্জের রিফ্রেশ রেট এই শব্দগুলো বহুল প্রচলিত। একটি ফোনের ক্ষেত্রে রিফ্রেশরেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে রিফ্রেশরেটের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবো।
ভালো ও প্রিমিয়াম বাজেটের স্মার্টফোন ব্রান্ডগুলো আমাদেরকে রিফ্রেশরেট সুবিধা দিয়ে থাকে। একটি ফোনের ক্ষেত্রে রিফ্রেশরেটের গুরুত্ব নিচে দেয়া হলোঃ
(১) আপনি যদি গেমার হয়ে থাকেন,তাহলে আপনি গেমস খেলার সময় রিফ্রেশরেটের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। পাবজির মতো গেমস খেলার সময় দৃশ্যপট পরিবর্তনের দ্রুততা দেখে আপনি রিফ্রেশ রেটের পার্থক্য বুঝবেন।
![]() |
Mobile Refresh Rate |
(২) আপনি যখন ফেসবুক বা অন্য সোস্যাল মিডিয়া স্ক্রল করবেন, তখন সেটা স্মুথলি স্ক্রল হবে, যদি আপনার ফোনে ভালো রিফ্রেশরেট সুবিধা থাকে। রিফ্রেশরেট যত বেশি হবে, তত স্মুথলি স্ক্রল হবে।
(৩) ছবি তোলার পর ছবি প্রসেসিং তুলনামূলক ভালো হবে, যদি আপনার ফোনটি ভালো রিফ্রেশরেট সাপোর্টেড হয়।
(৪) ফোনের গ্যালারিতে ছবি দেখার সময়, এক ছবি থেকে অন্য ছবিতে স্ক্রল করার সময় আপনি ফোনের রিফ্রেশরেটের সুবিধা বুঝতে পারবেন।
(৫) ফোনে ভিডিও দেখা বা কোন একশন মুভি দেখার সময় আপনি রিফ্রেশরেটের সুবিধা বুঝতে পারবেন।
একটি ফোনে ভালো মানের রিফ্রেশরেট থাকায় আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। শুধুমাত্র অসুবিধা একটিই,সেটি হলো রিফ্রেশরেট যুক্ত ফোনের ব্যাটারি ক্ষয় বেশি হয়। সেক্ষেত্রে আপনি ফোনের ব্যাটারি বেকাপ কিছুটা কম পাবেন।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যে তথ্য জানার প্রয়োজন ছিল সেটি জানতে পেরেছেন। স্মার্টফোন বিষয়ক আপনার অনেকে অজানা তথ্য আমাদের এই সাইটে আপনি পাবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের Facebook Page লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন। সাইটের নিচের অংশে আমাদের ফেইসবুক পেইজ দেয়া আছে। সেখানে স্মার্টফোন সম্পর্কিত নিয়মিত নিত্যনতুন আরো অজানা তথ্য জানতে পারবেন।